প্রশ্রয় ও শিথিলতায় শক্তিশালী স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট
প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২০, ১৭:১৭
স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেটের একটি বড় নাম হিসেবে সামনে এসেছে মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু। অথচ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বছরখানেক আগেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যে সুযোগ পেয়েছিল তা যথাযথভাবে নিলে এত দূর পর্যন্ত যেতে পারত না সে।
কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল্লাহর লেখা এক চিঠিতে বলা হয়, লেক্সিকন মার্চেন্ডাইজ এবং মেডিটেক ইমেজিং লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি চিকিত্সা সরবরাহকারী সংস্থার মালিক মিঠু স্বাস্থ্যখাতের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে।
গত ৩০ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিটিতে বলা হয়েছে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কোনো চিকিত্সা সরঞ্জাম সরবরাহ না করেই প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে মিঠুর সিন্ডিকেট।
মানহীন পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্ক বিতর্কের কারণে মো. শহীদুল্লাহকে গত ২৩ মে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে সেনা সদর দপ্তরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। গত মাসে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
চিঠিতে তিনি এটাও বলেছিলেন যে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের কেনাকাটাও নিয়ন্ত্রণ করে এই সিন্ডিকেট।