গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ ও উত্ত্যক্তকারীর নামে মামলা করায় আব্দুল মান্নান নামের এক বাবা হামলার শিকার হয়েছেন। আব্দুল মান্নান রামনগর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। হামলার শিকার আব্দুল মান্নানকে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্ভর্তি করা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাতে রামনগর বাজারে হামলার ঘটনা ঘটে।আহত আব্দুল মান্নান জানান, আমার মেয়ের স্বামী (জামাতা) কর্মের সুবাদে বেশ কয়েক বছর যাবৎ প্রবাসে। সে সুযোগে আমার মেয়েকে গ্রামের ফরমান আলীর ছেলে পল্লীচিকিৎসক সেলিম রেজা মাঝে-মাঝে কু-প্রস্তাব দেয় ও উত্যক্ত করে। গত ১লা আগস্ট রাতে সেলিম রেজা অনৈতিক কাজের উদ্দেশ্যে আমার মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে। এবং তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় আমার মেয়ে চিৎকার করলে, প্রতিবেশীরা সেলিমকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। পরে সেলিমের দুলাভাই বামন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর রহমান কমলসহ তার লোকজন জোরপূর্বক তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার বিচার পেতে গত ৬ই আগস্ট মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সেলিম রেজার নামে একটি মামলা করি। মামলা দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সেলিম তার লোকজন নিয়ে শুক্রবার রাতে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ বিষয়ে গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, আব্দুল মান্নানকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পসহ তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।