হিরোশিমা-নাগাসাকি দিবসের ভাবনা : পরমাণু অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব চাই
প্রকাশিত: ০৮ আগস্ট ২০২০, ১৬:০৩
সময়ের পরিক্রমায় প্রতি বছর আগস্ট মাস আসলেই মনে পড়ে হিরোশিমা-নাগাসাকির কথা। মনে পড়ে বর্বরতা এবং নৃশংসতায় অকালে মৃত্যুবরণকারী লাখো মানুষের কথা। হিরোসিমা-নাগাসাকি পৃথিবীর মানুষের কাছে নৃশংসতম বর্বরতার একটি প্রতিচ্ছবি হিসাবে বছরের পর বছর ধরে চিত্রিত হয়ে আসছে। হিরোশিমা-নাগাসাকির নাম শুনলেই ভয়ে আতঙ্কে ওঠে শান্তিপ্রিয় মানুষের মন। মনে পড়ে মানবজাতির বিরুদ্ধে পরিচালিত সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ঠ বর্বরতা ও নৃশংসতার কথা। চোখের সামনে ভেসে ওঠে মানব সমাজকে হত্যার জন্য পরিচালিত সীমাহীন বর্বরতা ও নৃশংসতার প্রতিচ্ছবি। যেই বর্বরতা ও নৃশংসতায় কয়েক মিনিটের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করেছিল জাপানোর হিরোসিমা ও নাগাসাকি শহরের লক্ষাধিক মানুষ । সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছিল আরো লক্ষাধিক মানুষ। মৃত্যুবরণ করেছিল লক্ষাধিক পশুপাখি ও মৎসজগত। আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছিল সবুজ বৃক্ষরাজি আর গাছপালা। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল দুটি জনপদে প্রানের স্পন্দন। এসব হচ্ছে জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহরে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পারমাণবিক বোমা হামলার ভয়াবহ পরিণতি। হিরোশিমা এবং নাগাসাকির ওপর পারমাণবিক বোমা হামলার পঁচাত্তুর বছর অতিক্রান্ত হলেও বিশ্ববাসী এখনো পারমাণবিক বোমা হামলার হুমকি এবং আশংকা থেকে মুক্ত হতে পারেনি। এই অবস্থায় মানবজাতিকে যদি পারমাণবিক বোমার নৃশংসতা থেকে বাঁচাতে হয় তাহলে হিরোশিমা এবং নাগাসাকির পুনরাবৃত্তি যে কোন মুল্যে প্রতিরোধ করতে হবে। আমরা একটি পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব চাই।