দুই বন্ধুর অংশীদারত্বে ঢাকার মোতালেব প্লাজায় মোবাইল যন্ত্রাংশের একটি দোকান চালান মফিজুল ইসলাম (৪৬)। ভাড়ায় দোকান। চার বছর ধরে ব্যবসা ভালোই চলছিল তাঁদের। স্ত্রীর পরামর্শে এবং পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে একটু একটু করে টাকা জমাচ্ছিলেন মফিজুল। শেষ পর্যন্ত এ বছরের জানুয়ারিতে পাঁচ বছর মেয়াদে পাঁচ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন পরিবার সঞ্চয়পত্রে।
কিন্তু করোনাভাইরাস সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছে মফিজুলদের। গত মার্চের শেষ দিকে সবকিছু যখন প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ হয়ে যায়। মুঠোফোনে সম্প্রতি মফিজুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাড়িভাড়া, সংসার খরচ, দোকানভাড়া মিলিয়ে আর কুলাতে পারছিলাম না। তাই সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে ফেললাম। সেখান থেকে মাসে ৪ হাজার ৮০০ টাকা করে পেতাম। রেখে দিতে পারলে হয়তো লাভবান হতাম।’