চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভার এক হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম সংযুক্ত আরব আমিরাতে নারী ও মানব পাচার চক্রের হোতা আজম খানের। কয়েক বছর আগেও ‘নুন আনতে পানতা ফুরাত’ যে পরিবারের, তারা এখন এলাকার বড় ধনী, বড় দানবীর। থাকেন বিলাসবহুল বাড়িতে। চড়েন দামি গাড়িতে। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে হয়েছে তাদের অবিশ্বাস্য অর্থনৈতিক উত্থান। যে উত্থানকাহিনি শুনে ‘চক্ষু চড়কগাছ’ হবে যে কারও।
জানা যায়, মানব পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আজম খানের অর্থনৈতিক অবস্থা এক সময় খুব খারাপ থাকলেও, আমিরাতের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হিসেবে তার পরিচিতি তৈরি হয়েছে কয়েক বছর আগে। এখন তাকে সবাই আজম খান নামে চিনলেও তিনি খান বংশের কেউ নন। বিদেশে মানব পাচার শুরু করার পর নিজেই নামের শেষে খান উপাধী যুক্ত করেন।
গ্রেফতার হওয়া আজমের অন্তত তিনটি নামের হদিস পাওয়া গেছে। এলাকার লোকে তাকে আজম ছাড়াও মোজাহের ওরফে আজিম উদ্দিন ওরফে ডন আজিম নামে চেনে। তার পিতার নাম মাহবুল আলম ও মায়ের নাম সবিল খাতুন। গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ি পৌরসভার খেরু মুহুরীর বাড়িতে। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া আজম খান লেখাপড়ায় প্রাইমারির গণ্ডি পেরোতে পারেননি।