খাতায়-কলমে ম্যাচটা ছিল ডার্বি। কিন্তু ধারেভারে তোরিনোর থেকে যোজন এগিয়ে শুরু করা জুভেন্টাসের জয় নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল; বরং তিন পয়েন্ট ব্যতীত অন্য কোনও ফলাফলে চ্যাম্পিয়নশিপের লক্ষ্য ধাক্কা খেত। কিন্তু না, পচা শামুকে পা কাটেনি সারির দলের। বড় জয়ে লিগ শীর্ষে অবস্থান মজবুত হল জুভেন্টাসের। সঙ্গে ম্যাচ থেকে উঠে এল একাধিক ইতিবাচক বিষয়।
ইতালিয়ান মিডিয়ার রিপোর্ট সত্যি করে সেজনিকে সরিয়ে এদিন সারির একাদশে শুরু করেন অভিজ্ঞ গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি বুফন। আর সেইসঙ্গে সিরি-এ’র ইতহাসে সর্বাধিক ম্যাচ খেলা (৬৪৮) ফুটবলার হিসেবে মাইলস্টোন গড়েন বিশ্বজয়ী গোলরক্ষক। নজির গড়ার পথে এদিন আরেক কিংবদন্তি পাওলো মালদিনিকে ছাপিয়ে গেলেন বুফোন।
বুফন পাশে এদিন সমান উজ্জ্বল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও। দীর্ঘ সময় বাদে ফ্রি-কিক থেকে গোলখরা কাটালেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। শুধু তাই নয়, ১৯৬০-৬১ পর প্রথম জুভেন্টাস ফুটবলার হিসেবে একটি সিরি-এ মৌসুমে ২৫টি গোল করলেন। ১৯৬০-৬১ ওমর সিভোরি শেষবার ইতালির প্রিমিয়র ডিভিশন লিগে জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে ২৫ গোল করেছিলেন।
রোনাল্ডো ছাড়াও নিয়মিত ব্যবধানে গোল করে যাচ্ছেন পাওলো দিবালা। এদিনও করলেন। স্কোরশিটে এদিন নাম তুললেন জুয়ান কুয়াদ্রাদো। একটি গোল আত্মঘাতী। সবমিলিয়ে তোরিনোকে ৪-১ গোলে হারাল মৌরিজিও সারির দল। খানিকটা গত ম্যাচের ঢঙেই এদিন ম্যাচের ৩ মিনিটে বিপক্ষের একাধিক ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে দুরন্ত প্লেসিংয়ে বল জালে রাখেন আর্জেন্তাইন স্ট্রাইকার। ২৯ মিনিটে প্রতি-আক্রমণে রোনাল্ডোর বাড়ানো পাস ধরে ২-০ করেন কুয়াদ্রাদো।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরায় তোরিনো। কিন্তু ৬১ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে গোল করে তোরিনোর ম্যাচে ফেরার আশায় জল ঢেলে দেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।