চৌহালীতে শহর রক্ষা বাঁধ ও সড়ক নির্মাণ প্রাণের দাবি

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২০, ০৮:০০

সিরাজগঞ্জের একটি অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ উপজেলা চৌহালী। জৌলুস আর যৌবনে ভরা উঁচু উঁচু সরকারি দালানকোঠাসমৃদ্ধ উপজেলাটিকে কিছুদিন আগেও সিরাজগঞ্জের একটি উন্নত উপজেলা হিসেবে গণ্য করা হতো। কিন্তু যমুনা নদীর করাল গ্রাসে সেই অবস্থা আর নেই। চৌহালী উপজেলাটিতে প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ১৪৩ জন মানুষের বাস। রয়েছে সরকারি-বেসরকারি মিলে ১২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে মোট ১৬টি এবং ১টি সরকারি কলেজসহ মোট ২টি কলেজ।

উপজেলার অনেক এলাকা ভাঙনের শিকার হয়েছে। কিছু আছে অক্ষত, সেগুলোও হুমকির সম্মুখীন। এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও এই উপজেলার অসংখ্য ছাত্রছাত্রী গৌরবের সঙ্গে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। ২০১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই সমৃদ্ধ উপজেলাটির অধিকাংশ ভূমিই ক্ষয়ে গেছে যমুনার করাল গ্রাসে। যেটুকু ভূমি অবশিষ্ট রয়েছে তাও হুমকির মুখে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বেখেয়াল আর অবহেলার কারণে নির্মাণ হচ্ছে না জনমানুষের প্রবল আকাঙ্ক্ষিত টেকসই উপজেলা রক্ষা বাঁধ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সরেজমিন পরিদর্শন করে কিছু জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করলেও নেই কোনো টেকসই বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা।

সে জন্য পাঁচ হাজারের বেশি পরিবারকে প্রতিবছর হুমকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। ভিটেমাটি ছাড়া হতে হচ্ছে শত শত পরিবারকে। অসংখ্য স্থাপনা, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, তাঁত কারখানা, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কবরস্থান ও হাটবাজার ভাঙনের কবলে রয়েছে। ভাঙনের কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। ঘনবসতি তৈরি হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। স্কুল-কলেজ ভেঙে যাওয়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। এ বছর আরও বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। করোনার কারণে আয়-উপার্জন না থাকায় অনেককে অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে।অন্যদিকে, উপজেলার একটি প্রধান সড়ক পথ হলো চৌহালী টু শাহাজানী রাস্তা। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দুটি হাট এই দুই জায়গায় বসে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করে। ভাঙনের কারণে বিলীন হয়ে যাওয়া রাস্তাটি পাঁচ বছরেও পুনর্নির্মাণ করা হয়নি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us