চুলে তেল লাগানো ছাড়া হয়ত সেভাবে কেউ স্ক্যাল্প ম্যাসেজ করে না! তবে জানেন কি? মাথার স্ক্যাল্প নিয়মিত ম্যাসেজ করলে মুক্তি মিলবে নানা রোগ-ব্যাধি থেকে। কারণ মাথার স্ক্যাল্প ম্যাসেজের সময় রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, এতে শারীরিক ও মানসিন নানা সমস্যার সমাধান ঘটে। হট অয়েল ম্যাসেজে কথা নিশ্চয় জানেন! মাথায় তেল মালিশের এই চিরন্তন ঘরোয়া পদ্ধতির উপকারিতা অনেক। > সারাদিনে যত কাজের চাপই থাকুক, দিনের শেষের স্ক্যাল্প ম্যাসেজ করুন। নিমেষেই আপনি হালকা, চনমনে হয়ে উঠবেন।
স্ক্যাল্প ম্যাসেজের কারণে সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এটি হলো একটি কেমিক্যাল তথা নিউরোট্রান্সমিটার যা মন মেজাজ হালকা রাখতে সাহায্য করে৷ সেই সঙ্গে চুল ওঠা বন্ধ হয়! স্ক্যাল্প মাসাজ নেয়ার সময় ঘাড় আর কাঁধেও মাসাজ নিতে ভুলবেন না! যারা দিনভর কম্পিউটার আর স্মার্টফোনে মুখ গুঁজে রাখেন, তাদের ক্ষেত্রে এ কথা সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য৷ > সুস্থ চুলের জন্য সুস্থ স্ক্যাল্প খুবই দরকার কারণ চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছোয় স্ক্যাল্প থেকেই৷ সপ্তাহে একবার তেল মাসাজ স্ক্যাল্প আর্দ্র থাকতে সাহায্য করে৷
চুলে তেল নেয়ার সময় স্ক্যাল্পেও লাগানো উচিত৷ এরপর আুল দিয়ে আলতো ম্যাসেজ করুন। > স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে অয়েল ম্যাসেজ। এতে চুলের ফলিকলে (আপনার চুলের একমাত্র জীবিত অংশ) রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। স্ক্যাল্পের নিচে যে সূক্ষ্ম শিরা-উপশিরাগুলো আছে, মাসাজের ফলে সে সব প্রসারিত হয় এবং হেয়ার ফলিকলে রক্তের সংবহন বাড়ে৷ স্বাভাবিকভাবেই চুলের বৃদ্ধি বেশি হয়৷ > কপালের দু’পাশে মাসাজ করলে টেনশন কমে এবং মাথায় রক্তের সংবহন বেড়ে যায়৷ কপালের দু’পাশে ছোট ছোট চক্রাকার গতিতে মাসাজ করতে শুরু করুন, তারপর ধীরে ধীরে দু’পাশে মাসাজ করতে করতে উঠতে থাকুন মাথার উপর পর্যন্ত৷ একইভাবে ফিরে আসুন নিচে, আবার একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন৷ > রাতে ঘুমোতে অসুবিধে হলে, ঘুম না হলে শুতে যাওয়ার আগে একটা স্ক্যাল্প মাসাজ নিয়ে দেখতে পারেন!