জুয়াড়ির প্রস্তাব শুনেও সেটা আইসিসি'র দুর্নীতি দমন বিভাগকে জানাননি সাকিব আল হাসান। আর সেই জটিলতায় আটকে গিয়ে এখন ক্রিকেট দুনিয়ায় এক বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি কাটাচ্ছেন বাংলাদেশের সেরা এই অলরাউন্ডার।
জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া সেই প্রস্তাবের বিষয়টি নিয়ে সাকিব আল হাসান ক্রিকেটের ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে এক অনলাইন আড্ডায় জানান- ‘ওটা ছিল আমার একটা সিলি মিসটেক। আমি বিষয়টা খুব ক্যাজুয়ালি নিয়েছিলাম। তাই এই সমস্যায় পড়েছি। আইসিসি'র দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদেরও আমি তাই বলেছি। তাদের কাছে সব প্রমাণ দিয়েছি। তারা সব পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও সেটাই জেনেছেন। আর তাই আমার শাস্তি মাত্র এক বছরের হয়েছে। নয়তো বা আমি তো ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারতাম।’
জুয়াড়িদের কাছ থেকে এমন প্রস্তাব আসতে পারে-এটা তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এতদিনের অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেটারের জানা কথা। আর সেই প্রস্তাবের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানানোও যে বড় অপরাধ- সেটাও তার অজানা কিছু নয়।
-তারপরও সাকিব এই ভুল করলেন!
সাকিবের উত্তরটা এমন- ‘আমার মনে হয় সেটা ছিল আমার সিলি মিসটেক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অভিজ্ঞতা এবং আইসিসি’র বিধি-বিধানের ওপর এত এত ক্লাস করা একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমার কোনোমতেই অমন সিদ্ধান্ত (জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করা) নেওয়া উচিত হয়নি। যাই হোক শিক্ষাটা হয়েছে। কেউ যেন আর এমন টেলিফোন কল বা ম্যাসেজের বিষয়কে আর (জুয়াড়ির কাছ থেকে) হালকাভাবে না নেয়। সঙ্গে সঙ্গে সেটা আইসিসি'র দুর্নীতি দমন বিভাগকে জানানো উচিত। আমার এই ঘটনা থেকে সেই বড় শিক্ষাটাই পেয়েছি আমি।’