বেপরোয়া দখলবাজী, স্ত্রীর নামে সম্পদের পাহাড় দুর্জয়ের

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২০, ১৫:৫১

ঢাকা: সরকারি খাস জমি কিংবা বেসরকারি মালিকানা; জমি হলেই হলো। ভাগের নামে চাঁদা অথবা বেপরোয়াভাবে দখল নিতে আসবে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের মদদপুষ্ট বাহিনীর লোকেরা। আর এভাবেই স্ত্রী ফারহানা রহমান হ্যাপির নামের আড়ালে তিনি গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। 

এমনই অভিযোগ উঠেছে সাবেক ক্রিকেটার, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক এমপি নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ আছে, জমি দখলের পুরো কাজটি দুর্জয়ের হয়ে নিয়ন্ত্রণ করেন তারই চাচা এবং মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তায়েবুর রহমান টিপু।

জেলায় কেউ জমি কেনাবেচা করতে চাইলে আগেই ‘ভাগ’ রেখে দিতে হয়। আর যারা ভাগ দেন না, তারা জমি কেনাবেচা করতে পারেন না। আর বেশি ঝামেলা করতে চাইলে সেই জমি চলে যায় দুর্জয়ের দখলে।  পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, দখল ভীতির কারণে জেলার বাইরে থেকে কোনো ব্যক্তি বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ওই এলাকায় জমি কিনতে আসে না। সে কারণে জমি কেনাবেচাও খুবই কম। আর বাংলাদেশ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং সড়ক ও জনপথের মতো সংস্থার সরকারি জমি এবং নদীভাঙা সম্পদ, বাজার বা অন্যান্য খাস জমি দখলে নেওয়া তো এমপির লোকজনের নিত্যদিনের ব্যাপার।

ভূমি অফিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দুর্জয় এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত পাঁচ ছয় বছরে শুধু দৌলতপুর এলাকাতেই শতাধিক একর খাস জমি দখল করে নিয়েছেন। উপজেলা সদরের খাল-নালা ভরাট করে তা পজেশন আকারে বিক্রি করার ঘটনাও ঘটেছে। দৌলতপুর বাজারে জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই সরকারি নালা দখল করে ভরাট হয়েছে, সেখানেই এখন গড়ে উঠেছে বড় আকারের মার্কেট। দোকান প্রতি পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ‘পজেশন’ বরাদ্দও দিয়েছেন টিপু। একইভাবে আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জায়গা দখল করে নিয়েছে টিপুর বাহিনী। সেখানে এখন শতাধিক দোকানপাটের জন্য পজেশন বরাদ্দের পাঁয়তারা চলছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us