প্রধানমন্ত্রীর ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত: মনমোহন সিং
প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২০, ১৭:৫২
লাদাখ সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় প্রথমবারের মতো এ বিষয়ে কথা বললেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি মন্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সে বিষয়ে এক বিবৃতিতে মনমোহন সিং বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে সবসময়ই তিনি কী বলছেন সেই সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। তার সবসময় ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত।
সোমবার গালওয়ান উপত্যকায় গত ১৫ জুন ভারতীয় সেনারা যে ভয়াবহ সংঘর্ষের মুখোমুখি হয় সেটির প্রথম প্রতিক্রিয়ায় মনমোহন সিং বলেন, এবার জবাব না দেয়া হলে জনগণের বিশ্বাসের প্রতি ঐতিহাসিক বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। তিনি বলেন, কর্নেল বি সন্তোষ বাবু এবং আমাদের যেসব সেনারা দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তারা যাতে ন্যায়বিচার পান সেটি প্রধানমন্ত্রী এবং তার সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
মনমোহন সিং আরো বলেন, এই মুহুর্তে আমরা ঐতিহাসিক মোড়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের সরকারের সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপই ঠিক করে দেবে যে ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের সম্পর্কে কী উপলব্ধি করবে। যারা আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদেরই একান্তভাবে এই দায়িত্বের ভার বহন করতে হবে এবং আমাদের গণতন্ত্রে এই দায়িত্বটি থাকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের উপর। তাই প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে যে, তিনি কী বলছেন। আমাদের জাতির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তিনি যে ঘোষণাগুলো দিচ্ছেন সেগুলোর প্রভাব সম্পর্কে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। এর আগে, শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ভারতীয় সীমান্তের ভিতরে কেউ ঢুকতে পারেনি কোনো পোস্টও দখল করতে পারেনি তারা।
নরেন্দ্র মোদির এই বিবৃতি বিশ্লেষণ করে কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধি টুইটার পোস্টে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় ভূখণ্ডকে চীনের হামলার সামনে আত্মসমর্পণ করেছেন। সেই ভূখণ্ড কি তবে চীনের ছিল? কেন আমাদের বাহিনীর সেনারা নিহত হলেন?
রাহুল গান্ধির এই টুইটের পাল্টা উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আরেকটি বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ আমাদের ভূখণ্ডে কোনও চীনের সেনার অনুপ্রবেশ নেই। এটা আমাদের সাহসী সেনাদের উদ্যোগী পদক্ষেপ। ১৬ বিহার রেজিমেন্টের সেই সেনারা নিজেদের প্রাণ দিয়ে চীনের সেনাদের ভারতীয় নির্মাণ ধ্বংস এবং অনুপ্রবেশ রোধে ভূমিকা রেখেছে বলেও সেই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।