সড়কের উভয় পাশেই রয়েছে সেতুর অংশ বিশেষ। শুধু মাঝখানের অংশটি নেই। মাঝের অংশ ছাড়াই সেতুটি পড়ে আছে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে। কবে পুনঃনির্মাণ হবে তার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি কেউই। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার অনুপোযোগী টাঙ্গাইলের গোপালপুরে এই সেতুটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের ডেকে এনে দেখানোর পরেও নেওয়া্ হয়নি কোনো পদক্ষেপ।
উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের পূর্ব ও পশ্চিম পাকুটিয়া গ্রাম। এর মাঝে ঝিনাই নদী। নদীর পশ্চিম পাড়ে কমিউনিটি ক্লিনিক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পূর্ব পাড়ে উচ্চবিদ্যালয় ও বাজার। উভয় পাশের পাকা সড়ক মিশেছে সেতুপাড়ে। এ সড়ক ধরে সেতু পার হয় ঝাওয়াইল ও হাদিরা ইউনিয়নের সাত গ্রামের মানুষ। কিন্তু ছয় বছর আগে ধসে পড়ে সেতুটি এখনও পুনঃনির্মাণ না করায় এসব এলাকার মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে হচ্ছে ভোগান্তি।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৪ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালের আগস্টে মাটি সরে গিয়ে সেতুটি মাঝখানের দু’টি পিলার আলগা হয়ে যায়। তখন বিপজ্জনক সেতুটির উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শরীফ হোসেন জানান, এলজিইডি দ্রুত সংস্কার না করায় ২০১৫ সালের মে মাসে মাঝখানের গার্ডারসহ সেতুটির ৫৪ ফিট নদীতে ভেঙ্গে পড়ে।