সাইপ্রাসে হার না মানা এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর গল্প
প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২০, ১৬:৪৯
ভূ-মধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাস। আয়তন প্রায় ৩ হাজার ৫৭২ বর্গ মাইল। জনসংখ্যা ১২ লাখের কাছাকাছি। নয়নাভিরাম সমুদ্র সৈকত ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জন্য বিখ্যাত দেশটি। ভালোবাসার দেবী হিসেবে খ্যাত অ্যাফ্রোদিতির জন্মস্থান পূর্ব ভূ-মধ্যসাগরীয় এ দ্বীপরাষ্ট্রে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য অনেক দেশের মতো সাইপ্রাসেও প্রবাসী বাংলাদেশির বসবাস রয়েছে। একটা সময় উচ্চশিক্ষার জন্য বিশেষ করে ট্যুরিজম ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থীর কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল ছিল দেশটি।একে নিরব খান। প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। ২০১৫ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় সাইপ্রাসে পাড়ি জমান। সম্প্রতি তিনি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে তিনি একজন আলোচিত ব্যক্তিত্ব। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে তিনি দেশটিতে বসবাসরত দেশিদের মাঝে ইতোমধ্যে নয়নের মণি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। তবে তার এ সাফল্যের অগ্রযাত্রার পথটি মোটেও মসৃণ ছিল না। পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশিরা সাইপ্রাসে আসলেও ইউরোপের অন্য কোনো দেশে পাড়ি জমানোর রুট হিসেবে ব্যবহার করে দেশটি। হাতেগোনা কয়েকজন লেখাপড়া চালিয়ে যায়।
সকল ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে আজকের এ অবস্থানে পৌঁছাতে পারায় তিনি গর্ববোধ করছেন। সাইপ্রাসে সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে বিশেষত নর্থ সাইপ্রাস থেকে উদ্বাস্তু হিসেবে পাড়ি জমানো বাংলাদেশিদের কারণে সামগ্রিকভাবে সেখানে বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি অনেকটা মিয়ম্রাণ হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বর্তমানে সাইপ্রাসে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অনেকে আসলেও শেষ পর্যন্ত কেউই সেভাবে আর লেখাপড়া করছেন না। অনেকে ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগালসহ ইউরোপের অন্য দেশে পৌঁছানোর একটি রুট হিসেবে সাইপ্রাসকে বেছে নিচ্ছে।
একে নিরব খান বলেন, সাইপ্রাসে আসার আগে আমি বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি পড়তাম। তবে কোর্সটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারিনি।আমার জীবনের একটি স্বপ্ন ছিল যুক্তরাজ্য থেকে উচ্চশিক্ষা নেয়ার। অনেকের মতো আমিও কোনও এক অ্যাজেন্সির ফাঁদে পা দিয়েছিলাম। এ কারণে এলএলবি কোর্স অসমাপ্ত রেখে সাইপ্রাসে পাড়ি দিই।