জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রীতিলতা হলের ১৭টি রুমে তালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকালে বিষয়টি হল প্রশাসনের নজরে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে হল কর্তৃপক্ষ। তবে শনিবার সংশ্লিষ্ট রুমের ছাত্রীদের বিষয়টি জানানো হয়।
ছাত্রীরা হলের বাইরে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রীতিলতা হল প্রশাসন ও হলের আবাসিক ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার নিয়মিত পর্যবেক্ষণেও চুরির বিষয়টি লক্ষ্য করা যায় নি। তবে শুক্রবার সকালে হলের ‘এ’ ব্লকের ২০১, ২০৩, ২১১, ২১৬, ২১৭, ৩০১ ও ৩০৫ এবং ‘বি’ ব্লকের ১১৩, ২০২, ২১২, ২১৩, ২২২, ৩০৯, ৪০৩, ৪১২ ও ৪২১ নম্বর কক্ষসহ একটি স্টোররুমের দরজার তালা ভেঙ্গে চুরির বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকতেও কিভাবে এই ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে হল প্রশাসন এবং আবাসিক ছাত্রীদের কেউই কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
প্রীতিলতা হলের আবাসিক ছাত্রী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মনিকা ইয়াসমিন বলেন, আজ হলের প্রভোস্ট জানিয়েছে আমাদের রুমের তালা ভাঙ্গা। হলে আমার পাঁচহাজারের মতো টাকা, গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেট ও কাগজপত্র ছিল। এছাড়া জামা-কাপড়, সাইকেল ছিল। এসব নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি। এত নিরাপত্তা থাকা স্বত্ত্বেও কিভাবে এমন ঘটনা ঘটে!
হলের আরেক আবাসিক ছাত্রী আইন ও বিচার বিভাগের আশরেফুল নাহার বলেন, ছোটখাটো চুরি আগেও হয়েছে। রমজানের ছুটিতেও চুরি হয়েছে গনরুমে। লম্বাছুটিতে গণরুম খোলাই পরে থাকে। তালা দেওয়ার কথা এবার বলে আসা হয়েছিল, দিয়েছে কিনা জানি না। হলে যেকেউ চাইলে ঢুকতে পারে। যেমন প্রায়ই বারান্দা থেকে জামাকাপড় চুরি হয়।
হলের আবাসিক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের ৪৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিদিতা তাহসিন বলেন, হলে চুরির ঘটনা নতুন নয়। এর পরেও হল প্রশাসনের গাফিলতির কারণে এমন ধরণের ঘটনা ঘটছেই। হলে সিসি ক্যামেরা, নিরাপত্তাপ্রহরী থাকতে কিভাবে এ ধরণের ঘটনা ঘটে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এসব বিষয়ে বারবার হল প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও তারা সে ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।