তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান সোমবার বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আলোচনা করার সময় লিবিয়া প্রশ্নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‘কতিপয় চুক্তির’ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। খবর এএফপি’র।
আঙ্কারা লিবিয়ার জাতিসংঘ স্বীকৃতি প্রাপ্ত জাতীয় ঐক্যের সরকারের (জিএনএ) প্রতি সমর্থন এবং তারা যুদ্ধবাজ নেতা খলিফা হাফতারের বিরুদ্ধে ত্রিপোলিতে সামরিক সহযোগিতা জোরদার করেছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে জিএনএ’কে সমর্থন দিলেও ওয়াশিংটনের মিত্র দেশ মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব হ্ফাতারকে সমর্থন করছে। এরদোগান রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার কেন্দ্র টিআরটি’কে বলেন, আজ সন্ধ্যার আমাদের ফোনালাপের পর লিবিয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে একটি নতুন যুগের সূচনা হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ফোনালাপ চলাকালে আমরা কতিপয় চুক্তির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। এক্ষেত্রে এ দু’দেশ একত্রে ‘সম্ভাব্য পদক্ষেপ’ গ্রহণ করতে পারে বলে উল্লেখ করা হলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
এদিকে লিবিয়া সংঘাতের ব্যাপারে মস্কোর গুরুত্বের ইঙ্গিত দিয়ে এরদোগান বলেন, দেশটির ক্ষেত্রে কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে সে ব্যাপারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও তার আলোচনা করা প্রয়োজন।
কেননা, হাফতারকে সহযোগিতা করতে রাশিয়ার বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানি ওয়াগনার থেকে কয়েক হাজার ভাড়াটে সৈন্য পাঠানোয় মস্কোকে অভিযুক্ত করা হয়। এদিকে ক্রেমলিন তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।