রাজধানীতে ডিসপোজেবল কাপে চা

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২০, ১০:০০

রাজধানীর অলিগলিতে মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকান নাগরিক জীবনের অন্যতম অংশ হয়ে গেছে। দোকানির কাচের কাপে চামচের টুংটাং শব্দ কার না চেনা! কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উধাও সেই দৃশ্য। চায়ের দোকানগুলোতে সেই টুংটাং আওয়াজ আর কানে আসে না। কাচের কাপের বদলে সেখানে স্থান করে নিয়েছে ডিসপোজেবল কাপ বা ওয়ানটাইম কাপ। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে এই পন্থা বেছে নিয়েছেন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সবখানে চায়ের দোকানে ব্যবহার হচ্ছে ডিসপোজেবল কাপ। দোকানিরা মাস্ক পরে ব্যবসা চালাচ্ছেন। তাদের এমন সচেতনতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। কোথাও কোথাও অবশ্য কাচের কাপে এখনও চা কেনাবেচা চলছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ রোধে জীবাণু ধ্বংসের জন্য অন্তত ২০ সেকেন্ড কাপ গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তা না হলে এসব কাপে চা পানের কারণে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা আছে।করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দুই মাসেরও বেশি সময় সাধারণ ছুটি ছিল দেশে। তখন ফার্মেসি, কাচাবাজার ও মুদি দোকান ছাড়া সবকিছুই বন্ধ রাখতে বলা হয়। কিন্তু পাড়া-মহল্লায় লুকিয়ে অনেক দোকানিকে চা বিক্রি করতে দেখা গেছে। গত ৩১ মে সাধারণ ছুটি শেষে রাজধানীর বেশিরভাগ গলি ও পথের ধারে চায়ের দোকান ফের জমে উঠেছে। তবে ডিসপোজেবল কাপ না হলে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।নগরীর শংকরের চা-বিক্রেতা আলতাফ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগে কাচের কাপে চা বিক্রি করতাম। সেগুলো রেখে দিয়েছি, করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ গেলে আবারও এসব ব্যবহার করবো। এখন ওয়ানটাইম কাপে চা বিক্রি করি। তবে ক্রেতা আগের চেয়ে কম।’

শনিবার (৬ জুন) জিগাতলা মোড়ের আরেক চা বিক্রেতা খালেদের কথায়, ‘ওয়ানটাইম কাপে চা বিক্রি করছি তিন দিন হলো। এজন্য প্রতি কাপ চায়ের দাম দুই টাকা বাড়াতে হয়েছে। বর্তমানে প্রতি কাপ চা ৮ টাকা নিচ্ছি। ডিসপোজেবল কাপ কেনার কারণে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। তারপরও লোকজন চা কিনছেন।’এদিকে এখনও অনেক দোকানে কাচের কাপে চা বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের দাবি, ‘কাপ ভালোভাবে গরম পানিতে ধুয়ে তারপর চা পরিবেশন করছেন তারা। এতে জীবাণু থাকার কথা না।’ এসব দোকানের ক্রেতাদের মুখে শোনা গেলো, ‘গরম পানি দিয়ে ধুয়েই তো কাপে চা দেয়, তাতে খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’

কাচের কাপ বা ডিসপোজেবল কাপে করোনাভাইরাস ছড়ায় কিনা তা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ভাইরোলজিস্ট ডা. নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গরম পানি দিয়ে কতক্ষণ কাপটি পরিষ্কার করা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে জীবাণু গেলো নাকি থাকলো। গরম পানিতে যদি কাপ মিনিটখানেক সময় রাখা যায়, তাহলে ভাইরাস নষ্ট হয়ে যাবে। কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড তো রাখতেই হবে। যদি তা না করা হয় তবে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us