উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা নির্বাচনী কেন্দ্রের ভোটার খাজা রিয়াজ একজন পূর্ণাঙ্গ কাশ্মীরি। পূর্ণাঙ্গ কারণ, কাশ্মীরের বড়সংখ্যক মানুষের মতো একাধারে তিনি কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন সমর্থন করেন। আবার অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে থাকারও বিরোধী নন।
কাশ্মীরের বড় একটা অংশের মানুষ মনে করেন, এটাই কাশ্মীরের জন্য উপযুক্ত রাস্তা। তাঁরা স্বাধীন কাশ্মীর চান না। কারণ, তাতে বিপদ আরও অনেক বড় হতে পারে বলে তাঁরা মনে করেন। আবার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা হোক, তা-ও চান না। রিয়াজ এই গোত্রের মানুষ, মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী। সেই রিয়াজ টেলিফোনে বললেন, ‘এবারের নির্বাচন নিয়ে তাপ-উত্তাপ বিশেষ নেই।’
রিয়াজের পর্যবেক্ষণ খতিয়ে দেখে বোঝা গেল অভিজ্ঞ এই কৃষক হয় মনের কথা বলেননি, অথবা তিনি মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। এটা ঠিকই, অন্যান্যবার ভারতের সাধারণ নির্বাচন বা কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বিশেষ আগ্রহ কাশ্মীরে থাকে না। নির্বাচনকে ভারতের রুটিন প্রশাসনিক তৎপরতা বলে মনে করা হয়। কিন্তু কাশ্মীর উপত্যকার নাগরিক সমাজের একাংশ এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, এবারের চিত্র সেটা নয়। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল নিয়ে কাশ্মীরে এবার প্রবল আগ্রহ রয়েছে।