ব্যাংকে বড় লোকের টাকা রাখার খরচ বাড়তে পারে

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২০, ০০:১৪

আগামী ২০২০–২১ অর্থবছরের বাজেটে বেশ কিছু বড় পরিবর্তন আসছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আইনের আওতায় আমদানি পর্যায়ে যে নতুন আগাম কর (আগাম ভ্যাট) চালু করা হয়েছে, সেখানে পরিবর্তন হবে। এখন কিছু পণ্য বাদে ঢালাওভাবে ৫ শতাংশ হারে আগাম কর আদায় করা হয়।

আগামী বাজেটে ভ্যাটের আগাম করে দুটি হার করা হতে পারে। শিল্পখাতের কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্যের জন্য ৩ শতাংশ এবং বাণিনিজ্যক পণ্যের জন্য ৫ শতাংশ আগাম কর আরোপের প্রস্তাব থাকতে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়িত্বশীল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আগাম করে পরিবর্তন করা হলে উদ্যোক্তারা বেশি সুবিধা পাবেন। তাতে আমদানি খরচ কমবে।

এ ছাড়া আগামী অর্থবছরের বাজেটে আবগারি শুল্ক, টার্নওভার কর, সিগারেটের মূল্যস্তর বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রির দেশজ উৎপাদনে ভ্যাট ছাড়সহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

বড় লোকের তথা ধনীদের ব্যাংকে টাকা রাখার খরচ বাড়তে পারে। বর্তমানে ব্যাংক হিসাবে নির্দিষ্ট সীমার বেশি টাকা থাকলেই বিভিন্ন হারে আবগরি শুল্ক আরোপ করা হয়। বছরে একবারের জন্য হলেও ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকার বেশি থাকলেই আবগারি শুল্ক দিতে হয়। সর্বোচ্চ শ্রেণিতে আবগারি শুল্কের পরিবর্তন আসতে পারে। ৫ কোটি টাকার বেশি ব্যাংক হিসাবে থাকলে বর্তমানে ২৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আরোপ হয়। এই অতি ধনি শ্রেণির আবগারি শুল্কের পরিমাণ ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানে ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকার কম থাকলে আবগারি শুল্ক দিতে হয় না।
এক লাখ টাকার বেশি, কিন্তু ৫ লাখ টাকার কম থাকলে ১৫০ টাকা; ৫ লাখ টাকা বেশি, ১০ লাখ টাকার কম হলে ৫০০ টাকা; ১০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু এক কোটি টাকার কম হলে ২ হাজার টাকা; এক কোটি টাকার বেশি কিন্তু ৫ কোটি টাকার কম থাকলে সাড়ে ১২ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে ২৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়। আবগারি শুল্ক বছরে একবার দিতে হয়, ব্যাংক এই টাকা কেটে রেখে সরকারি কোষগারে জমা দেয়।

এর বাইরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ভ্যাটে বেশ বড় ছাড় আসছে। বর্তমানে বার্ষিক লেনদেন ৫০ লাখ টাকার কম হলে কোনো ভ্যাট দিতে হয় না। ৫০ লাখ টাকা থেকে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত বার্ষিক লেনদেন হয় এমন প্রতিষ্ঠানকে ৪ শতাংশ টার্নওভার কর দিতে হয়। এই টার্নওভার কর এক শতাংশ কমিয়ে তিন শতাংশ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এদিকে তামাক জাতীয় পণ্যকে নিরুৎসাহিত করতে এবারও উদ্যোগ থাকছে। সিগারেটের নিম্ন ও নিম্নমধ্যম মূল্যস্তরে পরিবর্তন আসতে পারে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এই দুটি মূল্যস্তর ৫ থেকে ১০ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে।
আটা, চিনি এমন নিত্যপণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া আছে। এই অব্যাহতি আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত রাখা হবে। এ ছাড়া গ্যাস উৎপাদন করে সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফের অংশ কমিয়ে দেওয়া হতে পারে। ভ্যাট আরোপের ক্ষেত্রে সংকুচিত ভিত্তিমূল্য বাড়তে পারে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us