বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান ও তার স্ত্রী নাসরিন খান গত ২৮ মে ‘চিকিৎসার জন্য’ দেশত্যাগ করেছেন। তবে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও তিনি কী করে বিদেশে গেলেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী দাবি করেছেন, আদালতের অনুমতি না নিয়ে দেশত্যাগ করেছেন তিনি। তবে মোরশেদ খানের আইনজীবী বলছেন, তার বিদেশযাত্রায় কোনও ধরনের বাধা না দেওয়ার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশে বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকার সময়ে গত ২৮ মে চার্টার্ড ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে সস্ত্রীক ঢাকা ত্যাগ করেন এম মোরশেদ খান। তার ঢাকা ছাড়ার খবর চাউর হলে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান দাবি করেন, মোরশেদ খান আদালতের যথাযথ অনুমতি না নিয়ে দেশত্যাগ করেছেন। তার দেশত্যাগে ‘ব্লকড অর্ডার’ দেওয়া আছে। তবে দুদক থেকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ইমিগ্রেশন বিভাগকে জানানোর পরও কীভাবে তারা দেশত্যাগ করেছেন, এ প্রশ্ন তোলেন দুদকের এই আইনজীবী।
দুদক আইনজীবীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মোরশেদ খানের পক্ষে গত ২৯ মে বিবৃতি দেন তার আইনজীবী খাইরুল আলম চৌধুরী। বিবৃতিতে তিনি বলেন, মোরশেদ খান ও তার স্ত্রী নাসরিন খান চিকিৎসার জন্য দেশত্যাগ করেছেন। মোরশেদ খানের বিদেশযাত্রায় কোনও ধরনের বাধা না দেওয়ার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। দুদক আইনজীবীর বক্তব্য ‘ইনকারেক্ট’ এবং ‘মিসকনসিভড’। ওই বিবৃতিতে খুরশীদ আলমকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানান খাইরুল।
বিবৃতিতে ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দিয়ে কারও বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আইনি অধিকার দুদকের নেই বলেও দাবি করেছেন মোরশেদ খানের আইনজীবী। খাইরুল আলম চৌধুরী বলেন, আদালতের অর্ডার (আদেশ) ছাড়া ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দিয়ে কারও বিদেশযাত্রার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনও আইনি অধিকার দুদকের নেই। তারা যা করছে তা বেআইনি।