শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থি থাইরয়েড। শরীরে থাইরয়েড হরমোন বেড়ে গেলে বিভিন্ন সমস্যা হয়। পর্যাপ্ত থাইরয়েড হরমোন ছাড়া শরীরের প্রত্যেক সিস্টেম ধীর হয়ে পড়ে। অ্যানিমিয়ার মতোই থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেক নারী। সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্যা বাড়তে থাকে। থাইরয়েড হরমোন শরীরের শক্তি, বাড়-বৃদ্ধি এবং বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। পুষ্টিবিদ রুজুতা দিয়েকরের মতে, হরমোনের ভারসাম্য রাখতে খেতে হবে এমন কিছু খাবার, যা শরীরের ভেতর থেকে হরমোন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
আম থাইরয়েডের সমস্যায় আম খেতে পারেন। আম কাটার আগে আধ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে আমের মধ্যে থাকা সব জীবাণু ও রাসায়নিক পদার্থ নষ্ট হয়ে যাবে। রুজুতা দিয়েকর বলেন, থাইরয়েড থাকলে দুপুরে খাওয়ার পর আম খেলে বেশি উপকার মেলে। ম্যাঙ্গিফেরিন আমের মধ্যে থাকা এমন একটি জৈব উপাদান, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।
শুকনো নারিকেল থাইরয়েডের সমস্যা কমায় ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই থাইরয়েড থাকলে শুকনো নারিকেল খেতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপাদান হরমোন ক্ষরণ রোধ করে। এছাড়া নারিকেলের দুধ অবসাদও কমায়। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তারা সরাসরি নারিকেল না খেয়ে চাটনি বানিয়ে খেতে পারেন।