টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শাহনাজ আক্তার চৈতী (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরের দিকে উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির উঠান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী এবং নিহতের পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের কারণে নির্যাতনের বলি হয়েছেন ওই গৃহবধূ।
জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে দেলদুয়ার উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা পশ্চিমপাড়া গ্রামের লাভলু মিয়ার ছেলে লাভু মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শাহনাজ আক্তার চৈতীর। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৩ মাস বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে।নিহত চৈতীর পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য প্রতিনিয়তই শ্বশুরবাড়ির লোকজন চৈতীর ওপর অত্যাচার চালাতো। গত ১৫-২০ দিন আগেও যৌতুকের দাবিতে তাকে মারধর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিল তারা। পরে ৫ হাজার টাকা দিয়ে তাকে পুনরায় শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়। এর আগেও চৈতীর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে স্বামীর বাড়ির লোকজন।ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান উকিল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আবার তাকে মেরেও ফাঁসিতে ঝোলানো হতে পারে।
তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছে বলেও তিনি জানান।মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’