মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খাদমসী গ্রামে লিটু বাহিনীর তাণ্ডবে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। ঈদের দিন সন্ধ্যার পরে খাদমসী গ্রামে তার বাহিনী সিদ্দিক মুন্সি, ইমন মুন্সির বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে অন্তত ২০টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও দোকান কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ বিষয়ে সদর থানায় মামলা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, ঈদের দিন সন্ধ্যার পর বাড়ির দিকে আসছিলেন সিদ্দিক মুন্সি ও তার দুই ছেলে। এ সময় ওঁৎপেতে থাকা লিটু মুন্সি ও তার বাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর অজ্ঞাত কারণে হামলা চালায়। একপর্যায়ে সিদ্দিক মুন্সি বাড়িতে দৌড়ে চলে যান। পরে তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপরে কয়েকটি বাড়িতে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। এতে ইমন মুন্সি, শাহীন মুন্সি, আতাহার খান, রিপন বেপারি, বাবুল তালুকদার, মিরুল তালুকদার, রাজিব তালুকদার, আনোয়ার মুন্সি, তুহিন মুন্সিসহ ২০ জনের বাড়ি ভাংচুর করে।
এছাড়া ইউসুফ মোল্লার দোকান ও আতাহার খান এবং শাহীন মুন্সির মটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। হামলার ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়। পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে সিদ্দিক মুন্সি বলেন, লিটু মুন্সি ও আহাদ মুন্সি বাহিনীর হাতে গোটা এলাকা জিম্মি। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তাদের হাত থেকে আমরা মুক্তি চাই। ঘটনার পর থেকে লিটু মুন্সি ও আহাদ মুন্সিকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি কামরুল হাসান মিঞা বলেন, ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একপক্ষ থেকে অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।