জিডিপির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি দেশে ধনী-দরিদ্রের মধ্যকার আয়বৈষম্যও বাড়ছে। এর ফলে শুধু ধনীদের সম্পদ বাড়ছে। আর এতে ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির বিবেচনায় শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আবারো উঠে এসেছে বাংলাদেশ। চলতি মাসে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথএক্স প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির বছর দুয়েক আগের প্রকাশিত প্রতিবেদনেও বাংলাদেশের ধনীদের দ্রুত সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি উঠে এসেছিল।
সম্পদ দ্রুত বাড়ছে এমন শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে এশিয়ার ছয়টি। আঞ্চলিক সরবরাহ চেইন নিবিড়তা ও বাড়তে থাকা তরুণ কর্মশক্তির সহায়তা নিয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারায় র্যাংকিংয়ের শীর্ষে রয়েছে ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত এক দশক শুধু চীনেরই অব্যাহত সম্প্রসারণ নয়, বরং এর মধ্যে রয়েছে অঞ্চলটির অন্যান্য অর্থনীতিরও উন্নয়ন। অর্থনীতিগুলো দ্রুত নগরায়ণসহ কম উৎপাদনশীল কৃষি থেকে শিল্প ও সেবা খাতের দিকে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম দুই দেশেই ২০১০ সালে তুলনামূলক কম সম্পদশালী ব্যক্তি ছিল। যার আংশিক প্রতিফলন হলো দেশগুলোর সম্পদশালী জনগোষ্ঠীর শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি। বিশ্বের সব দেশের তুলনায় বহিরাগত সম্পদ সত্ত্বেও সম্পদের দ্রুত বৃদ্ধি হওয়া শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে রয়েছে পরিপক্ব যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১০ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দ্রুত সম্পদশালী হওয়া বাজারগুলোতে ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি সম্পদ এমন জনগোষ্ঠীর বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ভিয়েতনামে ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। তালিকার তৃতীয় অবস্থানে চীনের প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে থাকা কেনিয়ার ১৩ দশমিক ১ শতাংশ।