চলমান মহামারি করোনা সংকটের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভেঙে পড়েছে পোল্ট্রি শিল্পের চাকা। বিশেষ করে লেয়ার খামারিদের লাভ তো দূরের কথা উল্টো গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতি। একদিকে ক্রেতা সংকট অপরদিকে মোরগ পরিচর্যায় সময়মত ভ্যাকসিন না পাওয়ায় খামারিরা বেশ ক্ষতির সম্মুখীন। পুষ্টিহীনতার অভাব ও মানসম্মত খাবার না পাওয়ায় বিভিন্ন রোগে অনেক মুরগি ইতোমধ্যে মারা গেছে। ক্রেতা সংকটের কারণে খামারে নিয়মিত উৎপাদিত ডিমের দাম কমে যাচ্ছে। আগে যেখানে এক হালি ডিম ২৪ টাকায় বিক্রি হত। তা এখন নেমে দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকায়। এতে খামার মালিকরা যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক চরম অর্থকষ্টে দিন অতিবাহিত করছে। খামার মালিকদের দাবি তাদের এ দূর অবস্থা কাটাতে এই সেক্টরে সরকারিভাবে বিশেষ উদ্যোগে ও আর্থিক সহাতায় পাওয়া গেলে এই শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। জেলা প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা যায়, জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে লেয়ার এবং পোল্ট্রির এক হাজারের মত খামার রয়েছে। প্রায় দশ হাজার শ্রমিক কর্মরত আছেন এ শিল্পে। এ শিল্পকে পুঁজি করে অনেকেই আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেক শ্রমিকের বেকারত্ব দূর হয়েছে। সরেজমিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা গ্রামে কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান হাজী এস এ এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেড খামারে গিয়ে দেখা যায়, ১৩ কানি জায়গার অধিকাংশ জুড়ে কয়েকটি শেডে গড়ে তোলা হয়েছে লেয়ার মুরগির খামার। প্রায় ৩০ হাজার মুরগি পালন করে এখানে প্রতিদিন ৩০ হাজার ডিম উৎপাদন করা হয়। কিন্তু করোনা সংকটের কারণে খামারের সেই চাকা থমকে গেছে।