করোনায় মানুষ কেন ঘরে থাকছে না

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২০, ১২:৩৮

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখে সেই কত যুগ আগে মিনতি করেছিলেন, ‘ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।’ বিশ্বব্যাপী আজ করোনাভাইরাস যখন মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে, তখনো একই আকুতি করা হচ্ছে। নাগরিকদের প্রতি এই আকুতি জানাচ্ছে রাষ্ট্র। অবরুদ্ধ অবস্থা (লকডাউন) ঘোষণা করা হচ্ছে। পরামর্শ দিচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজের ঘরে থাকতে। কিন্তু কিছু মানুষ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সংকল্প’ কবিতার মতোই পণ করেছেন, ‘থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগৎটাকে।’ এমন দুর্যোগের সময় এই মানুষেরা কেন এমন করছেন, তার মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। আরে, কিছু হবে নাকানাডার সাসকাচুয়ানের রেজিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গর্ডন আসমুন্ডসন করোনাভাইরাস বিষয়ে মানুষের প্রতিক্রিয়া নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন। সেখানে তিনি তিন ধরনের প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন। একদল অতি উদ্বিগ্ন, একদল একেবারে নিরাসক্ত আর মাঝামাঝি অবস্থানে আছে আরেক দল। অতি উদ্বিগ্ন ব্যক্তিরা জিনিস মজুত করতে করতে দোকান খালি করে ফেলেছেন। মাঝের অবস্থানে থাকা লোকজন যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু করছেন। আর একেবারে নিরাসক্তরা ‘আরে, কিছু হবে না’ বলে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁরা মনে করেন, এই ভাইরাসে তাঁরা আক্রান্ত হবেন না। ফলে সামাজিক মেলামেশা বন্ধ রাখা বা ঘরের বাইরে বের না হওয়ার কোনো যুক্তি তাঁরা পান না। এ ধরনের উদাসী মানুষের জন্য করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে এই অধ্যাপক মনে করেন। আমি তো অসহায় নইমানুষ আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করে জরুরি প্রয়োজন নয়, এমন জিনিসও কিনছেন কেন? কারণ, এ ধরনের মানুষ আসলে নিজেকে অসহায় মনে করছেন। কিন্তু বাইরে বোঝাতে চাইছেন—আমি অসহায় নই। আমার কাছে প্রয়োজনীয় সব আছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us