ঢাকা সিটি নির্বাচনে জমে উঠেছে প্রচারণা। এই নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা লড়ছেন সরাসরি দলীয় প্রতীকে। আর কাউন্সিলর প্রার্থীরা পেয়েছেন দলীয় সমর্থন। দুই সিটির প্রতিটি ওয়ার্ডেই ভোটের মাঠে রয়েছেন প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তবে তাদের সঙ্গে দুই দলেরই সমর্থনবঞ্চিতরা ‘স্বতন্ত্র’ অথবা ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে রয়েছেন। ফলে এই বিদ্রোহী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই দলের সমর্থিত প্রার্থীদের জন্য বড় শূল হয়ে দেখা দিয়েছে। দুই দলেরই সাংগঠনিক শাস্তির কড়া হুঁশিয়ারির পরও দমানো যায়নি এসব প্রার্থীদের। মনোনয়ন প্রত্যাহারে দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করেই দুই সিটির ৩১টি ওয়ার্ডে নির্বাচনী লড়াইয়ে অনড় আওয়ামী লীগের ৪২ প্রার্থী। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে বেশকিছু জায়গায় দল সমর্থিত ও সমর্থনবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা-সংঘাতের খবরও এসেছে। অন্যদিকে দুই সিটিতেই অন্তত ২৫টি ওয়ার্ডে নির্বাচন করছেন বিএনপির বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা। দল থেকে সমঝোতার চেষ্টা ও কঠোর হুঁশিয়ারির পরও প্রচারাভিযানের মাঠ থেকে সরেননি তারা। কোনো কোনো ওয়ার্ডে সমর্থনবঞ্চিত দলের সর্বোচ্চ তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থীও প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে প্রচারকাজ অব্যাহত রেখেছেন। দলীয় সমর্থন পাওয়া প্রার্থীদের মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন তারা। আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা সিটিতে ভোট হবে। দুই সিটিতে মেয়র ছাড়াও ১২৯টি সাধারণ ও ৪৩টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড মিলিয়ে মোট ১৭২ জন নির্বাচিত হবেন। এর মধ্যে ডিএনসিসিতে ৫৪টি সাধারণ ও ১৮টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড আর ডিএসসিসিতে ৭৫টি সাধারণ ও ২৫টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড।