চলতি বছরটা বলতে পারি আমার ক্যারিয়ারের জন্য বেশ ভালো যাচ্ছে। এবার রোমান্টিক ইমেজ থেকে বের হয়ে এসে বেশকিছু বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছি। নিজেকে ভাঙার মতো সুযোগ পেয়েছি। আমার অভিনীত ‘এই শহরে’, ‘মায়া সবার মতো না’, ‘প্রশংসায় পঞ্চমুখ’, ‘বিউটিফুল’ ও ‘পতঙ্গ’সহ কয়েকটি ভিন্নধর্মী গল্পের নাটক দর্শকমহলে দারুণ সাড়া ফেলেছে। নিজের ক্যারিয়ারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এভাবেই বললেন জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। তার ভাষ্য, কয়েকজন নির্মাতার সঙ্গে এবার ডিফরেন্ট চরিত্রে কাজ করতে পেরেছি। অনেকে ভাবতেন আমি শুধু রোমান্টিক ঘরানার নাটকেই বেশি কাজ করি। কিন্তু এবার সেই ভাবনা মিথ্যে প্রমাণ করেছি। আমি বরাবরই চেষ্টা করি আমার চরিত্রে যেন নতুন কিছু থাকে। দর্শক তো অবশ্যই তার প্রিয় শিল্পীর কাছে নতুন কিছুর আশা করে। চলতি বছরে অভিনয়ের বাইরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে মেহজাবিনকে নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়। বিয়ের গুঞ্জন, শপিংমলে নির্মাতার হাত ধরে হাঁটা ও বিতর্কিত ভিডিও প্রকাশের মিথ্যা খবর সহ নানা ঘটনায় ফেসবুকে তাকে নিয়ে ঝড় বয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে মেহজাবিন বলেন, অনেক সময় আমরা সত্য-মিথ্যে যাচাই করি না। শোনা কথা নিয়ে আলোচনা করে আনন্দ পাই। এছাড়া সামান্য বিষয় নিয়েও অনেক সময় আমরা আলোচনা-সমালোচনা করি। সবার হাতে এখন মুঠোফোন। বেশির ভাগ মানুষই সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত আছি। আমি মনে করি, সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু বলা বা লেখার আগে বিষয়টি সম্পর্কে ভালো ভাবে জানা প্রযোজন। চলতি বছরের শুরুতে চুক্তিপত্রের মধ্য দিয়ে নাটকের শুটিং শুরু করার নিয়ম চালু হয়। কিন্তু নির্মাতা ও শিল্পীদের মধ্যে এটি তেমন কার্যকর হয়নি। সম্প্রতি টিভি নাটকের সংগঠনগুলো আবারো এই বিষয়টির দিকে নজর দিয়েছে। নিয়ম-নীতি মেনে কাজ করার জন্য মেহজাবিন নিজেও প্রস্তুত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গেল কয়েক বছর ধরে দেখে আসছিলাম কোনো সঠিক নিয়ম না থাকার কারণে অনেক সময় মধ্যরাত পর্যন্ত শুটিং করতে হয়েছে। অনেক শিল্পীই মধ্যরাত পর্যন্ত শুটিং করে পরের দিন সঠিক সময়ে স্পটে যেতে পারতেন না। আবার অনেক শিল্পী স্পটে দেরিতে আসতেন বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে। নিয়ম মেনে কাজ করলে এ সমস্যাগুলো হয় না। নিয়ম মানলে নির্মাতা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি শিল্পীরাও স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারবেন। চুক্তিপত্রের মাধ্যমে কাজ করলে বড় সুবিধা হলো কেউ নিয়মের বাইরে কিছু করলে সংগঠনের কাছে তার নামে অভিযোগ করার সুযোগ রয়েছে। ছোট পর্দার বাইরে বড় পর্দায়ও কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন মেহজাবিন। বড় পর্দার জন্য নিজেকে কতটুকু প্রস্তুত করেছেন? তিনি বলেন, আমার কাছে বড় ও ছোট পর্দার অভিনয় একই মনে হয়। শুধু মাধ্যম ভিন্ন। বিশেষ প্রস্তুতি বলতে আমি কিছু বলতে চাই না। যদি আমার অভিনয় করার মতো কোনো গল্প ও চরিত্র পাই তাহলে তাতে অভিনয় করবো। সেটি কালও হতে পারে। আবার একবছর পরেও হতে পারে। এ অভিনেত্রী সম্প্রতি মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘এ সুইট লাভ স্টোরি’ শিরোনামের একটি নাটকের শুটিং শেষ করেন। এতে তিনি জুটি বেঁধেছেন অপূর্বর বিপরীতে। আজকের আলাপনে সবশেষে মেহজাবিনের দেশ নিয়ে ভাবনার কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সব কিছুর ঊর্ধ্বে আমার দেশ। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে আমি কিছু করতে চাই না। আমাদের শিল্পীরা অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক কাজকর্মেও নিজেকে জড়াতে পারেন বলে আমি মনে করি।