রূপগঞ্জে শতবিঘা ফসলি জমি দখল করে মাছের খামার

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

রূপগঞ্জে শতবিঘার অধিক ফসলি জমি দখল করে মাছের খামার গড়ে তুলেছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী। জমি দখলের বিনিময়ে কৃষকদের দেয়া হচ্ছে না কোনো মাছের ভাগ কিংবা জমিভাড়া। নেই কোনো লিখিত চুক্তি। তবুও কেউ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না সে প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এদিকে চলতি মৌসুমে ফসলের মাঠ পানিতে তলিয়ে থাকায় বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে। উপজেলার ভোলাবো ইউনিয়নের চারিতাল্লুক এলাকার কাজলার বিলে এ খামার গড়ে তোলা হয়েছে।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, উপজেলার ভোলাবো ইউনিয়নের চারিতাল্লুক এলাকার মোচারতাল্লুক মৌজার কাজলার বিলে স্থানীয় প্রায় আশিজন কৃষকের শতবিঘার অধিক জমি দখল করে গত বছর একটি মাছের খামার গড়ে তোলে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি মৃত ইদ্রিস মেম্বারের ছেলে বাদশা মিয়া। এলাকার ৫/৭জনের সাথে পরামর্শ করে এই ৮০ কৃষকের জমি তার খামারের দখলে নিয়ে আসা হয়েছে। জমি দখলের বিনিময়ে কারো কাছ থেকে অনুমতি কিংবা করা হয়নি কোন লিখিত বা মৌখিক চুক্তি। খামার করাকালীন কৃষকরা ভেবেছিলো হয়তো জমির বিনিময়ে মাছের হিসাব অথবা জমিভাড়া অন্যথায় খাওয়ার জন্য মাছ দেয়া হবে জমি মালিকদের। কিন্তু মাছ বিক্রি করে কোটি টাকা আয় করলেও কোন কৃষককে দেয়া হয়নি একটি টাকাও। উপরোত্ত আগামী বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে ছাড়া হচ্ছে না জমির পানি। কেউ ভয়ে বলতেও পারছে না জমির পানি নিষ্কাশনের কথা। এ অবস্থায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। এ ব্যাপারে দখলদার বাদশা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সবার সাথে কথা বলে জমি নেইনি। এটি সত্য তবে কেউ খামার করার সময় আমাকে বাধাও দেয়নি। আমি এই জমি রক্ষার জন্য ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। কয়েকজন মিলে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছি। এতে আমার লাখ টাকা খরচা হয়েছে। অথচ কৃষকরা দিয়েছে মাত্র কয়েক হাজার টাকা। আমি ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে জমিতে মাছের চাষ করে খাচ্ছি। তাছাড়া জমিতে আমি মাছ চাষ করায় কৃষকদের উপকার হয়েছে। তারা জমির আগাছা পরিষ্কার করতে টাকা খরচ করতো। এখন সে টাকা তাদের লাগবে না। আমার মাছের খামার করাতে যদি কারো সমস্যা অথবা অসুবিধা হয় তাহলে পানি ছেড়ে দিবো। বোরো আবাদের তো এখনো অনেক সময় আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বলেন, কেউ যদি মাছের খামার নিজের জমিতে করে তবে কোন সমস্যা নেই। অন্যের জমিতে মাছ চাষ করতে হলে অবশ্যই লিখিতভাবে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। অন্যের জমিতে লিখিতভাবে অনুমতি না নিয়ে মাছ চাষ করা আইন বহির্ভূত। আমি দুই-একদিনের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে পাঠাবো। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us