দোহারে অবৈধ পশুর হাট তুলে দিলো পুলিশ

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

ঢাকার দোহার উপজেলার কার্তিকপুর ব্রিজ সংলগ্ন বটতলায় দীর্ঘদিন ধরে বসেছিল অবৈধ পশুর হাট। এতে সরকার রাজস্ব হারালেও স্থানীয় প্রভাবশালী সেন্টু ও তার ভাই মোতালেব দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে হাটটি বসিয়ে গরু প্রতি ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছিলেন। খবর পেয়ে গতকাল হাটটি বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। জানা যায়, স্থানীয় সেন্টু ও তার ভাই মোতালেব চলতি বছরে কার্তিকপুর বাজারের হাটের ইজারা নেয়। কিন্তু যেখানে হাটটি বসানো হয়েছে সেই স্থানে পশু বিক্রয়ের কোন অনুমোদন নেননি তারা। অথচ প্রতি রবিবার সাপ্তাহিক হাটের দিন অবৈধভাবে বসেছিল পশুর হাট। স্থানীয় আয়ূব আলী ফকির ও সাদেক জানান, গরু প্রতি ৫০ টাকা নেয় সেন্টু ও তার ভাই মোতালেব। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, গরু প্রতি নেয়া হয় ২০০ টাকা। এর মধ্যে বিক্রেতা ৫০ টাকা ও ক্রেতা গরু প্রতি ২০০ টাকা দেন সেন্টুকে। এ বিষয়ে কার্তিকপুর বাজার ব্যবসায়ী উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কুসুমহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, সেন্টু অবৈধ প্রক্রিয়ায় যে গরুর হাট বসিয়েছে আমি বাজারের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিষেধ করেছিলাম। তবুও সে অবৈধভাবে হাটটি বসায়। কারও কথাই শুনছে না। আমি জেনেছি গরু প্রতি খাজনা ২০০ টাকা করে সেন্টু ও তার ভাই মোতালেব আদায় করছে। এদিকে গতকাল পুলিশ অবৈধ গরুর হাটটি থেকে বেপারী ও ক্রেতাদের গরু সহ বের করে দেয়। নিজেকে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক পরিচয় দিয়ে অভিযুক্ত সেন্টু বলেন, আমি বাজারের হাটের ইজারা এনেছি। তবে যেখানে পশুর হাটটি বসে তার কোন ইজারা নেই। গরু প্রতি ২০০ টাকা না আমরা ৫০ টাকা করে নেই খরচ বাবদ। তবে আজ হাটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাহমুদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. মোজ্জামেল হক বলেন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় হাটটি বসেছিল। ওসি স্যারের নির্দেশে হাটটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে শুধু কার্তিকপুর বাজার হাটের ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে কার্তিকপুরে পশু হাটের কোন ইজারা বা অনুমোদন নাই।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us