ছবি সংগৃহীত

এ বছর বইমেলা নিয়ে অনেক আশাবাদী: আসলাম সানী

বইমেলা নিয়ে কথা বলছেন এই পরিষদের একজন জনপ্রিয় মুখ আসলাম সানী। তিনি কথা বললেন তাঁর বই, বইমেলা এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে।

সুমাইয়া মারিয়া বিনতে শহীদ
লেখক
প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৭:১৭ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১৫:১৬
প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৭:১৭ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১৫:১৬


ছবি সংগৃহীত

আসলাম সানী। ছবি: শামছুল হক রিপন, প্রিয়.কম

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত নাট্যকার, নাট্যশিল্পী ও গীতিকার, জাতীয় কবিতা পরিষদের আজীবন সদস্যসহ  আরো অনেক গুণে গুণান্বিত কবি আসলাম সানী। কথা বলছিলাম তাঁর সঙ্গে, তাঁর বর্তমান বই এবং বইমেলা নিয়ে। 

প্রিয়.কম: কেমন আছেন?

আসলাম সানী: এইতো ভালো।

প্রিয়.কম: মেলায়  কী কী বই থাকছে আপনার? 

আসলাম সানী: এ বছর আমার ২৫টি বই বের হয়েছে। তার মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু সমগ্র’ শিখা প্রকাশন থেকে বের হয়েছে, বিভা প্রকাশনী থেকে ছোটদের জন্য ‘ছোটদের বঙ্গবন্ধু অগ্নিবাস’, জার্নি ম্যান থেকে বের হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণ’ এছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আমার একটি বই বের হয়েছে ‘দুঃখজয়ী বোন আমার’ নামে। এরকম আরো বই বের হয়েছে ‘স্বপ্নজয়ী বোন আমার’ আর একটি হলো ‘সমব্যথি বোন আমার’ এই ৩ টি বই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে লেখা। গতদিন হাতে পেয়েছি ‘পাখি হবার স্বপ্নে’ বইটি। 

প্রিয়.কম: কেমন লাগছে এবারের বইমেলা?  

আসলাম সানী: বইমেলা তো আসলে আমাদের একটা মনের মেলা, জ্ঞানের, প্রাণের মেলা, জ্ঞানের মেলা। সারা পৃথিবীতেই বইমেলাকে জ্ঞানের মেলা হিসেবে চিনি। এই মেলাকে আমরা চাই একটু পরিশীলিত করতে, বাণিজ্যিক মেলা নয় আর কী। মুড়ি মুড়কির মেলা নয়, এখানে আসবেন চিন্তাশীল মানুষেরা। আমার মনটা অনেক বড় হয়ে যায় যখন দেখি ছোট ছোট বাচ্চারা তাদের বাবা-মার হাত ধরে মেলায় আসছে, বই কিনছে। আমি আশাবাদী হয়ে যাই যে এই প্রযুক্তির যুগে কত কিছু আমাদের সামনে চলে আসছে তারপরও কিন্তু তারা নতুনকে জানার জন্য, ইতিহাসকে জানার জন্য, ভবিষ্যতকে জানার জন্য এখনো বই পড়ে। সেই ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমি ওদের জন্য একটি বড় জায়গা।

প্রিয়.কম: বিগত বছর বইমেলা এবং এই বছর বইমেলার পার্থক্য কেমন দেখতে পাচ্ছেন?

আসলাম সানী: বলতে কয়েক বছর ধরেই আমি ভালো দেখতে পাচ্ছি। আগে দেখা যেত যে বইমেলাটা পুরোটাই বাংলা একাডেমিতে হতো। স্বাভাবিকভাবেই একটু জটলা হত। একেবারে গায়ে গা লাগার মতন।  কিন্তু এখন মেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্দ্যানে হওয়াতে আমরা কিন্তু একটু শান্তি পাচ্ছি। লোকজন আরো বেশি আসতে পারছে। তো সেই ক্ষেত্রে আমি খুবই ভালো মনে করি। বিশেষ করে বিদেশি লেখকদের কাছে আমাদের বই মেলাটা একটা আন্তর্জাতিক রুপ পেয়েছে, তারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন সব। যা এই সরকারের আমলেই সম্ভব হয়েছে। এই যে এতো মানুষ আসছে এতো ভীড়, এগুলো দেখে আমরা আনন্দিত। বিশ্বের অনেক দেশ বা জাতির মানুষ জানেন যে আমরা বোধ হয় জ্ঞানের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে থাকি। আমাদের বোধয় শিক্ষার হার অনেক কম। সেইক্ষেত্রে বইয়ের প্রতি মানুষ এতো আকৃষ্ট হতে পারে সেটা আমাদের গৌরবের বিষয়।

আমাদের রক্তে রাঙানো ভাষার প্রতি মানুষের যে শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে এটি বই মেলার মাঝে রাঙানো একটি গৌরবের বিষয়। এবং আমি মনে করি বইমেলা খুব সুন্দর হচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর হবে। 

প্রিয়.কম: প্রকাশকদের উদ্দেশ্যে যদি কিছু বলতেন।  

আসলাম সানী: প্রকাশকদের কাছে আমার একটু অনুরোধ থাকবে যে একটি নির্ভুল বই প্রকাশের, শুধু ঝকঝকে তকতকে হলে চলবে না। বানান সচেতন এবং ইতিহাস সচেতন হতে হবে, যাতে আমরা আমাদের প্রজন্মকে, পাঠককে বা আমার শিশুকে ভুল তথ্য না দেই। কারণ বইমেলা হলো লেখক পাঠক এবং প্রকাশকের একটা সেতু বন্ধন। লেখকেরা আমরা বই লিখি এবং প্রকাশকেরা অনেক কষ্ট করে, পরিশ্রম দিয়ে, টাকা পয়সা দিয়ে, সময় দিয়ে বইটি প্রকাশ করেন কিন্তু সেই বইটি যদি নির্ভুল না হয় তবে অনেক কষ্ট থেকে যায়।

প্রিয়.কম: লেখালেখি নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা যদি একটু বলতেন। 

আসলাম সানী: আমার লেখালিখি নিয়ে কোনো ভবিষ্যত পরিকল্পনা নেই। আমার লেখার একটাই উদ্দেশ্য বাঙালি, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু। এবং আমার লেখায় আগামী প্রজন্ম যদি উজ্জীবিত, উদ্দীপ্ত হয়, দেশকে ভালোবাসে, মানুষকে ভালোবাসে, প্রকৃতিকে ভালোবাসে তবেই আমার লেখালিখির সাধনা স্বার্থক হবে। আমি কেবল মাত্র চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রিয়.কম: পাঠকদের উদ্দেশ্যে  কী বলবেন?

আসলাম সানী: পাঠকরাই তো আমাদের সব। আমিও নিজেও একজন পাঠক। আমি বলবো তাদের বই পড়ুন, সব ধরনের বই পড়ুন। নিজে পড়ে অন্যকেও আকৃষ্ট করুন। তাতে আপনাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়বে।

প্রিয়.কম: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আসলাম সানী: আপনাকেও ধন্যবাদ এবং প্রিয়.কমকেও ধন্যবাদ।

সম্পাদনা: গোরা 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...