ঢাকা আবাহনী-বসুন্ধরা কিংসের ফাইনাল ম্যাচে ঘটে যাওয়া মারামারির দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবলের ন্যক্কারজনক ঘটনা!

বল দখলের লড়াইয়ে সানডের বদলি নামা নবীব নেওয়াজ জীবন থাপ্পড় দেন বসুন্ধরার সুশান্ত ত্রিপুরাকে। সঙ্গে সঙ্গে পেটে লাথি মেরে জীবনকে ফেলে দেন সুশান্ত। এরপর দৌড়ে এসে পেছন থেকে ত্রিপুরাকে ফ্লাইং কিক মারেন আবাহনীর মামুন মিয়া।

সৌরভ মাহমুদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:১৭ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:১৯
প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:১৭ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:১৯


ঢাকা আবাহনী-বসুন্ধরা কিংসের ফাইনাল ম্যাচে ঘটে যাওয়া মারামারির দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) স্পোর্ট বাইবেল—ফুটবলবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। সম্প্রতি এই সংবাদমাধ্যমের অফিশিয়াল পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলাদেশ ফুটবলের ন্যাক্কারজনক এক ঘটনা।

স্পোর্ট বাইবেলের পোস্ট করা ভিডিওটি বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর মধ্যকার ফেডারেশন কাপ ফাইনালের। সেদিন ম্যাচের ৮৮ মিনিটে দ্রুত গতিতে বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া আবাহনীর সানডে সিজোবার বুকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন বসুন্ধরা কিংসের নাসির উদ্দিন চৌধুরী।

তার আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন সানডে। এ সময় বিবাদে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। রেফারি নাসির উদ্দিনকে হলুদ কার্ড দেখালে উত্তেজিত হয়ে পড়েন আবাহনীর খেলোয়াড়রা। তারা লাল কার্ডের দাবি তোলেন। এ ঘটনার পর উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।

অতিরিক্ত সময়ের খেলার শুরুতে বল দখলের লড়াইয়ে সানডের বদলি নামা নবীব নেওয়াজ জীবন থাপ্পড় দেন বসুন্ধরার সুশান্ত ত্রিপুরাকে। সঙ্গে সঙ্গে পেটে লাথি মেরে জীবনকে ফেলে দেন সুশান্ত। এরপর দৌড়ে এসে পেছন থেকে ত্রিপুরাকে ফ্লাইং কিক মারেন আবাহনীর মামুন মিয়া।

দৌড়ে এসে বসুন্ধরা কিংসের সুশান্ত ত্রিপুরাকে ফ্লাইং কিক দিচ্ছেন আবাহনীর মামুন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

পাল্টা লাথি দেন বসুন্ধরার তৌহিদুল আলম সবুজ। চারজনকেই লাল কার্ড দেখান রেফারি। বাকি সময়ে দু'দলই খেলে ৯ ফুটবলারকে নিয়ে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসকে ১-৩ গোল হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতে ঢাকা আবাহনী।

ম্যাচ শেষে ওই ফলাফল ছাপিয়ে সমর্থকদের আলোচনায় ছিল ন্যাক্কারজনক ওই মারামারি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তীব্র সমালোচনায় মেতে উঠেন সাধারণ সমর্থকদের থেকে শুরু করে ফুটবলবোদ্ধারা। এই ঘটনায় জড়িতদের কড়া শাস্তিও দেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)।

ঘটনার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও ‘স্পোর্ট বাইবেল’-এর বরাতে আবারও আলোচনায় বাংলাদেশ ফুটবলের ন্যাক্কারজনক ওই ঘটনা। ফেসবুকে পোস্ট করা তাদের ওই ভিডিও ইতোমধ্যে ১.১ মিলিয়নেরও বেশি দেখা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের ফুটবল সমর্থকরাও এই ঘটনার সমালোচনা করছেন।

অনেকে আবার তাদের নিজ নিজ দেশের ঘরোয়া ফুটবলের হালচিত্রও তুলে ধরেছেন। পোস্টটির কমেন্ট সেকশনে রীতিমত কমেন্টের বন্যা বয়ে গেছে।

প্রিয় খেলা/রিমন

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...