
ক্লোন কিভাবে করা হয়?
আমাদের শরীর গঠিত হয়েছে একটির পর একটি কোষ সাজিয়ে। মানব দেহ বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে একটি ডিম্বাণু ও একটি শুক্রাণুর মিলনে তৈরি হয় একটি জাইগোট। পরস্পরের ডিএনএ নমুনার মিলনে সৃষ্টি হয় নতুন ডিএনএ। এরপর সেই জাইগোট কোষের বিভাজন শুরু হয়, ক্রমশ একটি মানব ভরুনের আকৃতি নিতে থাকে। একে একে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ তৈরী হয় ও পূর্ণতা পেতে থাকে। দেহের প্রতিটি কোষে একটি করে ডিএনএ থাকলেও স্হান বিশেষে তারা কাজ করে আলাদা আলাদা। তার কারণ হচ্ছে, বিশেষ কাজগুলো করে কোষের প্রয়োজনীয় ছোট্ট একটি অংশ- জিন। ডিএনএ এর বাকি অংশটা থাকে নিষ্ক্রিয়। ভ্রুনের প্রাথমিক অবস্হায় একটি ডিএনএ তৈরী করতে পারে শরীরের যে কোন অঙ্গ। পরে ধীরে ধীরে নিজের নিজের কাজের হদিস পায় কোষগুলো। যেমন ত্বকের কোষ জেনে যায় তার কাজ, আবার হৃৎপিন্ডের কোষ জানতে পারে তার কাজ কি। ডঃ উইলমুট একটি ফিন ডরসেট ভেড়ার বাটের একটা কোষ নিয়েছিলেন। যেহেতু কোষটি বাটের, তাই তার পক্ষে বাটের কাজ ছাড়া তো অন্য কাজ করা সম্ভব নয়। তাহলে? ডঃ উইলমুট কোষটার পুষ্টি কমিয়ে দিলেন। ফলে কম পুষ্টি পেয়ে ক্ষুধার্ত কোষের বিভাজন বন্ধ হয়ে গেল। কয়েকদিনের মধ্যেই কোষটি হয়ে গেল নিষ্ক্রিয়। তখন তা একেবারে প্রাথমিক অবস্হার কোষের মত হয়ে গেল, তার মধ্যে প্রত্যেক কাজের জিনই আবার সক্রিয় হয়ে উঠল।
পাঠকের মন্তব্য(০)
মন্তব্য করতে লগইন করুন