কুলাউড়ার বরমচাল বড়ছড়া ব্রিজের ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় বড়ছড়ার নিচে পড়ে থাকা উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত বগিটি ছড়ার উত্তর পশ্চিম পাশের পাড়ে রাখা হয়েছে। অপরদিকে ব্রিজের পাশে পড়ে থাকা বগি দুটি স্ব স্ব স্থানেই পড়ে আছে। গতকাল ভোরে ঢাকা থেকে আসা দুটি ক্রেন উদ্ধার কাজ চালিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে সমাপ্ত করে। উদ্ধার কাজের সময় প্রায় ৭ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর সিলেটের সাথে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন উভয় দিকে আটকা পড়ে। এসময় স্টেশনগুলোয় অপেক্ষমাণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। সিলেট থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস মাইজগাঁও ও কালনী এক্সপ্রেস বরমচাল স্টেশনে আটকা পড়ে। অপরদিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেস শমশেরনগর স্টেশনে আটকা পড়ে। ২৩শে জুন রাতে সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা ঘটলে ৬টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর মধ্যে ২টি বগি উদ্ধার করে নিয়ে গেলেও বড়ছড়া ব্রিজের নিচে ১টি বগি ও এর পাশে আরো ২টি বগি পড়ে থাকে। আর ১টি বগি উদ্ধার করে রেললাইনের পশ্চিম পাশে রাখা হয়। ২৪শে জুন ওই দুর্ঘটনা কবলিত বগিগুলো পড়ে থাকা স্থানে রেখেই দ্রুত লাইন মেরামতের পর সারাদেশের সঙ্গে বন্ধ থাকা ট্রেন যোগাযোগ পুনরায় সচল করা হয়। বুধবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বড়ছড়ার ব্রিজের নিচে পড়ে থাকায় ছড়ায় পানি চলাচলে চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এতে করে কৃত্রিম স্রোত ও বন্যায় ব্রিজটি ঝুঁকিতে পড়ে। এ বিষয়ে বরমচাল স্টেশন মাস্টার মোঃ শফিকুল ইসলাম কাজল জানান, পাহাড়ি ছড়ার নিচে রেলের বগি থাকায় পানি নিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটায় ঝুঁকিকে ছিল সেতুটি। যে কারণে দ্রুত উদ্ধার চালানো হয়।