নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে সাড়ে চার বছর অপেক্ষা করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০১৯, ০০:০০
বিএনপি’র মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি নাকচ করে দিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগামী নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। নির্ধারিত সময়ের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী আরো সাড়ে চার বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই পর্যন্ত বিএনপিকে অপেক্ষা করতে হবে। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘হাসুমণির পাঠশালা’ আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের নিজেদের দুর্নীতিগ্রস্থ নেতৃবৃন্দ ও রুগ্ন রাজনীতি ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা গঠনমূলক সমালোচনা চাই। অনুগ্রহ করে কার্যকর সমালোচনা করুন। বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়ে এখন জেলে রয়েছেন। যদি তিনি দুর্নীতি না করতেন অথবা এতিমের টাকা মেরে না দিতেন, তবে বেগম জিয়াকে জেলে যেতে হত না। আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ এক সময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। বিশ্বের অন্যতম অধিক জনসংখ্যার ঘনত্বের দেশ হওয়া সত্ত্বেও এখন খাদ্য রপ্তানি করছে। বিশ্বে জিডিপি প্রবৃদ্ধির দিক থেকে শীর্ষ ৫ দেশের একটিতে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব সমপ্রদায়ের কাছে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক যথাযথ দৃষ্টান্ত হিসেবে অভিভূত হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিগত ১০ বছরে বহু উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় দেশ অভুতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছে। অনেকগুলো প্রধান সূচকে বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। দেশ এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে কাজ করে যাব। কেউ আমাদের এই গতিকে ব্যাহত করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গণতন্ত্র পুনর্গঠনের জন্য দেশে ফিরে এসেছিলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্ব আরো বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, দৈনিক সমকালের সহযোগী সম্পাদক অজয় দাসগুপ্ত, অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম প্রমুখ।