সিলেট নগরীর কুয়ারপাড় নিবাসী প্রফেসর মরহুম আবদুল মান্নান চৌধুরীর সহধর্মিণী, ডিআইজি হেডকোয়ার্টার তৌফিক মাহবুব চৌধুরীর মাতা নুর রওশন চৌধুরী (নেহার) গতকাল ভোরে সিলেট নগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইনা্নলিল্লাহি.... রাজিউন)। আজ বাদ জোহর হযরত শাহজালাল (র.) দরগাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মহীয়সী নারী নুর রওশন চৌধুরী রত্নাগর্ভা মা ছিলেন, সুনামগঞ্জ গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবং সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি পরবর্তীতে সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন। তিনি পাকিস্তান আমলে ডাবল এমএ এবং বিএড ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি একজন লেখিকাও ছিলেন। তার পিতা গোলাপগঞ্জ ফুলবাড়ি নিবাসী, মরহুম আবদুজ জহির চৌধুরী (কিনু মিয়া পেশকার), তিনি মরমী কবি হাছন রাজার ছেলে মরহুম দেওয়ান একলিমুর রাজার মেয়ে হেলাল বদন চৌধুরীর ২য় কন্যা এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজী ছিলেন নুর রওশন চৌধুরীর ভগ্নিপতি। তার ১ মাত্র ছেলে, ডিআইজি হেডকোয়ার্টার তৌফিক মাহবুব চৌধুরী, ৩ মেয়ে ১ম মেয়ে তাহেরা নুসরাত চৌধুরী স্বামী মুফতি সিরাজ উদ্দিন মোহাম্মদ জাহেদ দরগা মুফতি বাড়ির বাসিন্দা এবং আন্তর্জাতিক রুটের জাহাজের ক্যাপ্টেন ২য় মেয়ে ডা. তৈয়বা মোশাররত চৌধুরী, একজন প্রথিতযশা চিকিৎসক এবং তার স্বামী এডিশনাল আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন (স্মরণ) ৩য় মেয়ে তাহজিবা আশরাত চৌধুরী (ডালিয়া) স্বামী রনক চৌধুরী দুজনই যুক্তরাজ্য প্রবাসী সেখানে কর্মরত আছেন।