সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর উপজেলা অংশের বিভিন্ন বাজার এলাকা গুলোতে অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে ভাসমান ফল ব্যবসায়ীরা। ফলে উপজেলার বাজার এলাকাগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে যানজট। প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এ নিয়ে পথচারীদের সঙ্গে ভাসমান দোকান মালিকদের প্রতিনিয়ত হচ্ছে বাকবিতণ্ডা। ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার, তাজপুর, দয়ামীর বাজারসহ বিভিন্ন ব্যস্ততম এলাকায় সড়ক ও ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা করে যাচ্ছে ভাসমান ফল ব্যবসায়ীরা। ক্রমেই বাড়ছে এই সড়ক দখলের প্রবণতা। ফলে সরু হচ্ছে মহাসড়ক। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে যানবাহন, পথচারী ও বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ফুটপাথসহ মহাসড়কের ওপর স্তূপ করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন রকম ফল। মহাসড়কের উভয় পাশে এলোমেলো করে রাখা হয়েছে আনারস-কাঁঠাল। তাছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে ফল নিয়ে আসা ট্রাক সড়কে দাঁড় করিয়ে রেখে মালামাল নামানো হয়। এটিও যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ। এদিকে, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের গোয়ালাবাজার অংশে আবর্জনার স্তূপ পড়ে আছে। এতে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ বাজারে আসা সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, স্থানীয় কিছু ফল ব্যবসায়ীসহ অন্য ব্যবসায়ীরা এসব আবর্জনা জমা করে রেখে বাজারের পরিবেশ নষ্ট করছে। ব্যবসায়ী মুকিদ মিয়া বলেন, যাতায়াতে খুব কষ্ট হয়। সামনে পবিত্র রমাজান মাস, এ মাসকে কেন্দ্র করে ফুটপাথ দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল সামাদ বলেন, ফুটপাথ দখল মুক্ত করতে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠক ডেকেছি। শেরপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ ব্যাপারে আমরা বাজার এলাকা গুলোর মহাসড়ক অবৈধ দখলমুক্ত করতে আন্তরিক রয়েছি। তবে সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটি ও ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করলে অবৈধ দখলদারদের মহাসড়ক থেকে উচ্ছেদ করা আরো সহজ হবে। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন বাজার এলাকার অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে প্রশাসন সজাগ রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।