গ্রুপ পর্বে আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন কৃষ্ণা রানী সরকার। কিরগিজস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও এক গোল করেন এই ফরোয়ার্ড। দুটি ম্যাচেই দারুণ খেলেন সিরাত জাহান স্বপ্না। বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে গুরুত্বপর্ণ এই দুই ফুটবলারকে না-ও পেতে পারে বাংলাদেশ। কিরগিজস্তানের বিপক্ষে চোট পাওয়ার কারণে এই শঙ্কা তৈরী হয়েছে। স্বপ্নার চোট ডান পায়ের হাঁটুতে। কৃষ্ণার চোট ডান পায়ে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন জানিয়েছেন, দু’জনের পায়েই এমআরআই করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার জানা যাবে, তারা সেমিফাইনালে খেলতে পারবেন কি না। কোচের ভাষ্য অনুযায়ী, দু’জনের মধ্যে কৃষ্ণার সেমিফাইনালে মাঠে নামার কিঞ্চিত সম্ভাবনা থাকলেও মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে স্বপ্নাকে নাও পাওয়া যেতে পারে।টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে স্বপ্না আর কৃষ্ণার গোলে ২-০ ব্যবধানে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে কিরগিজস্তানের বিরুদ্ধে ২-১ গোলের জয়ে এক গোল করেছিলেন কৃষ্ণা। অন্য গোলটি করেছিলেন সানজিদা, সেটিও ম্যাচের ৩০ সেকেন্ডের মাথায়। কিরগিজস্তানের বিরুদ্ধে স্বপ্না চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ২৫তম মিনিটে। কৃষ্ণা মাঠের বাইরে চলে যান ৭৩তম মিনিটে। তাদের পরিবর্তে বাকি সময় আক্রমণভাগে খেলেছিলেন মারজিয়া ও তহুরা। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, বদলি হিসেবে নেমে মারজিয়া ও তহুরা চমৎকার খেলেছেন। আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চ শক্তিশালী। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।কিরগিজস্তান-লাওস লড়াই আজবঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আজ ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন লাওসের মুখোমুখি হচ্ছে ‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ কিরগিজস্তান। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। আগামীকাল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ।‘এ’ গ্রুপ থেকে টানা দুই জয়েরই সেমিফাইনালের টিকেট পায় লাওস। দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষে জালে ১১ বার বল প্রবেশ করেছিয়ে লাওস। আজ জিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে চান দলটির কোচ ভংমিসাই সুবুয়াখাম। গতকাল বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতি ভালো। প্রতিটি ম্যাচের মতো সেমিফাইনালেও শতভাগ মেলে ধরতে প্রস্তুত সবাই।’ তবে ভালো ফুটবলে ক্লান্তি একটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন ভংসিমাই। তিনি বলেন, ‘ক্লান্তি তো অবশ্যই আছে। ৭২ ঘন্টার মধ্যে তিনটা ম্যাচ খেলা আসলে কঠিন। তারপরেও মেনে নিতে হচ্ছে। কিরগিজস্তান কঠিন প্রতিপক্ষ। তাদেরকে আমরা খাটো করে দেখছি না। সেরাটা খেলে তারা সেমিতে ওঠেছে। আমরাও শেষ চারে সেরাটা মেলে ধরতে প্রস্তুত।’ফাইনালে চোখ রেখে লাওসের অধিনায়ক আপাশালা বলেন, ‘এটা সেমিফাইনাল ম্যাচ। এখানে ভুল করার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের ফোকাসটা এখন সেমিফাইনালের দিকে। জয়ের জন্যই খেলবো। এই ম্যাচ জিতে আমরা ফাইনাল খেলতে চাই।’ লাওসকে সমীহ করে কিরগিজস্তানের কোচ গাইভোরান্সাকাইয়া নাতালিয়া বলেন, ‘আমার দেখা মতে এই টুর্নামেন্টে লাওস অন্যতম সেরা একটা দল। তাদের আক্রমণভাগ অনেক শক্তিশালী। আমরাও প্রস্তুত আছি।’ দলের অধিনায়ক বকতিগুল বলেন, ‘লাওস অবশ্যই ভালো টিম। দুটি ম্যাচে তারা অনেক বড় ব্যবধানে জিতেছে। আশা করি, আমরা লড়াই করতে পারবো।’