ভোলার লালমোহনের রমাগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাদে বাগান করে সফলতা অর্জন করেছেন অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন। পরিত্যক্ত ছাদকে তিনি গড়ে তুলেছেন সবুজের সমরোহে। প্রতিষ্ঠানের দ্বিতল ভবনের ছাদে বিভিন্ন প্রকার ফল ও ফুলের চাষ করেছেন। জামাল মিয়া একজন শিক্ষক হলেও বাগান করার প্রতি তার আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। তখন থেকেই তিনি বাড়ির আঙিনায় যেখানে জায়গা পেতেন সেখানেই বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা লাগাতেন। ছোটবেলার শখকে বর্তমানে তিনি একটি মডেল হিসেবে স্থাপন করেছেন। কলেজের দুতলা ভবনের ছাদকে অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন বাগানে পরিণত করেছেন। বিদ্যালয়ের ছাদে লাগিয়েছেন, মাল্টা, পেয়ারা, সফেদা, কামরাঙ্গা, কমলা, কুলসহ কাগজ ফুলের বাগান। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোনো ছাদ নাকি সবুজ ফসলের মাঠ। তার এই কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাগান করা আমার শখ। তাই বিদ্যালয়ের ছাদে বিভিন্ন ধরনের গাছের বাগান তৈরি করেছি। আমি নিজেই বাগানের পরিচর্যা করি। উপসহকারী কৃষি অফিসার মেহেদি হাসান সুমন আমাকে এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে রমাগঞ্জ ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি অফিসার মেহেদি হাসান সুমন জানান, ছাদ কৃষিতে খরচ কম হয়। এতে পরিবেশ সুন্দর থাকে। ছাদ কৃষির কারণে ভালো অক্সিজেন পাওয়া যায়। ছাদ কৃষির সবচেয়ে ভালো উপকারিতা হচ্ছে এটা পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। এসব বিষয় বিবেচনা করে রমাগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে ছাদ কৃষিতে আগ্রহ সৃষ্টি করি। পরে তিনি আমার কথায় রাজি হয়ে প্রতিষ্ঠানের ছাদে বিভিন্ন প্রকার ফলের চাষ শুরু করেন।