মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মা’র পাশে সমাহিত করা হয় চলচ্চিত্রের বিশিষ্ট অভিনেতা টেলি সামাদকে। গতকাল বাদ আসর তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে সকাল ১১টায় এফডিসিতে নেয়া হয় তার মরদেহ। এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব অডিটরিয়ামের সামনে টেলি সামাদের মরদেহ নামানোর পর শোকের ছায়া নেমে আসে। তার দীর্ঘদিনের এ কর্মস্থলে সে সময় উপস্থিত থাকা সবাই ছুটে আসেন তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে। এ সময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য সচিব আবদুল মালেক ছাড়াও অভিনেতা উজ্জল, আলমগীর, সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফারুক, অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, আলীরাজ, ড্যানি সিডাক, অমিত হাসান, জায়েদ খান, সম্রাট, অভিনেত্রী অঞ্জনা, নাসরিন, জেসমিন, সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ রফিকুল আলম, ফকির আলমগীর, প্রযোজক নাসির উদ্দিন দিলু, নাদের খান, রশিদুল আমিন হলি, খোরশেদ আলম খসরু, পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, শাহ আলম কিরণ, মুশফিকুর রহমান গুলজার, মনতাজুর রহমান আকবর, ইস্পাহানী আরিফ জাহান, নোমান রবিনসহ অনেক প্রযোজক, পরিচালক ও টেলি সামাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর সেখানে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে এ অভিনেতার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট অনেকেই তার মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানো শেষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, টেলি সামাদ চার দশক ধরে অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্রকে আলোকিত করেছেন। তার মতো শিল্পীর মৃত্যুতে চলচ্চিত্রের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এফডিসি থেকে ফ্রিজিং ভ্যানে করে টেলি সামাদের মরদেহ তার নিজ জেলা মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। সেখানে মরদেহ পৌঁছানোর পর আরেকটি জানাজা শেষে গুণী এই অভিনেতার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী মুন্সীগঞ্জের পারিবারিক কবরস্থানে বাদ আসর তাকে সমাহিত করা হয়। প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চলচ্চিত্রের বিশিষ্ট অভিনেতা টেলি সামাদ। তার বয়স ছিল ৭৪। খাদ্যনালী, ফুসফুসের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার রাতে টেলি সামাদের মরদেহ ছিল লাশবাহী গাড়িতে তার পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায়।