টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাদশ জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হয়নি
প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৫৬
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাদশ জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হয়নি । মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়।টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, একাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ ভুমিকা পালন করেনি। ক্ষমতাসীন দলের কোনো কোনো কার্যক্রম নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। এছাড়া সব দলের সভা সমাবেশ সমান সুযোগ নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের দমনে ক্ষমতাসীনদের অবস্থানের বিষয়ে নীরব ছিল কমিশন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে পারে নি। এছাড়াও নির্বাচনী অনিয়ম ও আচরণ বিধি লঙ্ঘনে সরকারী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি কমিশন বলেও উল্লেখ করা হয়। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা ও বলপ্রয়োগসহ আচরণবিধি লঙ্ঘনের সব অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৯ জন নিহত এবং আরো অনেকের আহত হওয়া, বলপ্রয়োগসহ আচরণবিধি লঙ্ঘণের অভিযোগ উত্থাপনের ফলে নির্বাচন ও তার ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।এছাড়া রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ লঙ্ঘনের যে সব অভিযোগ গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে তার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে সংস্থাটি। প্রকাশিত এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা ও বলপ্রয়োগসহ নির্বাচনী আচরণবিধির বহুমুখী লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগের কারণে নির্বাচন ও তার ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, তার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের ওপর ভিত্তি করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।তিনি বলেন, “আমরা শুরু থেকেই সব পক্ষের জন্য সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে এসেছি। কিন্তু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে একটি প্রতিদ্বন্দ্বী জোটের প্রার্থী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা, হামলা ও নির্যাতনের সংবাদ প্রচারিত হয়েছে, যা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত। এমনকি নির্বাচনের আগের রাতে এবং নির্বাচনের দিনও এমন হয়রানি চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সবচেয়ে বড় আশংকার বিষয় হলো, এতে করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি দেশের জনগণের আস্থাহীনতা সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।” ড. জামান বলেন, “একটি জোটের পোলিং এজেন্টরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারার অভিযোগের বিষয়টি যেভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন তা একদিকে যেমন বিব্রতকর, অন্যদিকে তাঁর নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক দায়িত্ব কার্যকরভাবে পালন করতে পেরেছে কিনা সে উদ্বেগ আরো ঘনীভূত করেছে।”