সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে এখন সবার দৃষ্টি সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের দিকে।সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। কারা পাচ্ছেন মনোনয়ন সে নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। বিশেষ করে একঝাঁক তারকা রয়েছেন আলোচনায়। মন্ত্রিসভার মতোই চমক থাকছে সংরক্ষিত নারী আসনে। এরই মধ্যে গত সোমবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণাতে অংশ নিতে দেখা গেছে তারকাদের। প্রতিষ্ঠিত নারী রাজনীতিবিদদের সঙ্গে প্রচারণার মাঠে সরব ছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, অঞ্জনা, তারিন জাহান, শামীমা তুষ্টি, তানভিন সুইটি, বাঁধন, পূর্ণিমা, অপু বিশ্বাসসহ আরও অনেকে। তাদের উপস্থিতি এবারের প্রচারণায় যোগ করে ভিন্ন মাত্রা।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ভোটের লড়াইয়ে অংশ নিতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন তারানা হালিম (টাঙ্গাইল-৬), শমী কায়সার (ফেনী-৩), রোকেয়া প্রাচী (ফেনী-৩) ও তারিন জাহান (ঢাকা-১০)। নির্বাচনের উত্তাপ শেষ হতে না হতেই সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যদের নির্বাচনের আলোচনা শুরু হওয়ায় প্রচারণার মাঠে সরব এসব তারকার নাম রয়েছে আলোচনায়। এছাড়া আলোচনায় আছেন নবম জাতীয় সংসদে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিজয়ী হয়ে আসা চিত্রনায়িকা সারাহ বেগম কবরী। রয়েছেন নবম ও দশম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য তারানা হালিমও, যিনি সদ্য শেষ মন্ত্রিসভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং পরে তথ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।একাদিক তারকা প্রর্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য ব্যক্তিকেই নির্বাচিন করবেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাধ্যমে কর্মী হিসেবে এলাকাবাসীর জন্যে কাজ করার কথা জানান। উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এতে ২৫৭টি আসনে জয় পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এদিকে, ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে। সে হিসাবে আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে হবে।