যে কারণে ইসির বৈঠক থেকে ঐক্যফ্রন্টের ওয়াকআউট

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:১৮

নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার আচরণ সন্তোষজনক নয় বলে দাবি করেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক হামলা ও সহিংসতার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে সিইসি বক্তব্য শুরু করবেন এমনটি আশা করেছিলেন। তিনি শুরুতে তিনি এসব বিষয় এড়িয়ে যান। উপরন্তু ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন যখন প্রার্থীদের ওপর হামলা ও পুলিশের একতরফা আচরণ বন্ধে ইসির হস্তক্ষেপ দাবি করেন তখন অনেকটা পুলিশের সাফাই গেয়ে পক্ষপাতমূলক বক্তব্য দেন সিইসি। এতে ক্ষুব্ধ হন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। বেলা ১২টা থেকে নির্বাচন কমিশনর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। তারা প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনার পর সভা বর্জন করেন। সভা চলাকালে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সিইসির কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এর সরাসরি কোন উত্তর দেননি। বৈঠক বর্জনের বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন সিইসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন- সিইসি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির চেয়েও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারেন। আপনি ইচ্ছা করলে ‘ লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনী’ কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। পুলিশ অনেকটা ‘লাঠিয়াল’ বাহিনীর মতো আমাদের মিটিং-মিছিল কিছুই করতে দিচ্ছে না। এমনকি বেলা ২টার পর মাইক ব্যবহারের জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের লোকজন নিয়ম-কানুন না মেনে পুলিশের সহায়তায় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ড. কামাল হোসেনের এ বক্তব্যের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান সিইসি। এসময় তিনি পুলিশের পক্ষেই সাফাই গাইতে থাকেন। বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান সিইসির উদ্দেশ্যে বলেন, আমার বয়স হয়েছে। তিন বার আমার উপর আক্রমণ হয়েছে। আমার কর্মীরা মানব ঢাল হয়ে আমাকে রক্ষা করেছে। আমি মারা গেলে কিছু না, কিন্তু আমার কর্মীদেরতো রক্ষা করতে হবে। আপনি পারলে ব্যবস্থা নেন। না হলে বলে দেন আমি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us