জেলার ডোমার সরকারী ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক সোলায়মান আলীকে মারধরের ঘটনায় কলেজের তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে ডোমার থানা পুলিশ। সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।আটক ছাত্ররা হলো, উপজেলার ডোমার সদর ইউনিয়নের বড়রাউতা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আল আমিন(১৭), পশ্চিম চিকনমাটি এলাকার নাজমুল হকের ছেলে আব্দুল হালিম(১৮) এবং পশ্চিম চিকনমাটি দোলাপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নাজিমুল ইসলাম(১৭)। গ্রেপ্তার সবাই ডোমার সরকারী ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র। গত ৭ই সেপ্টম্বর ডোমার সরকারী কলেজের প্রভাষক সোলায়মান আলীকে কলেজের বখাটে ছাত্র শান্ত ও সৈকতের নেতৃত্বে প্রায় ২০ জনের একটি বখাটে দল শিক্ষক সোলায়মানকে মারধর করতে করতে তিনতলা থেকে নিচে নেমে আনে। সেখানেও প্রকাশ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে তারা শিক্ষককে মারধর করে। এ ঘটনায় শিক্ষকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। বখাটে ছাত্রদের শাস্তির দাবিতে ডোমার ও নীলফামারীতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকরা। এ ঘটনায় শিক্ষক সোলায়মান মামলা করলে পুলিশ আসামিদের ধরতে রাতভর অভিযান পরিচালনা করছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম জানান, শিক্ষক মারধরের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে কলেজের সাধারন ছাত্র/ছাত্রীদের নানাভাবে হুমকি প্রদান করছে ঐসব বখাটে ছাত্র ও তার সহযোগীরা। বখাটে ছাত্রের সহযোগীরা ছাত্রদের সাক্ষী দিতে বারন করে বলেন এই ঘটনা শেষে হলে তাদের উপর আরো বেশি করে অত্যাচার করা হবে। শিক্ষক সোলায়মান জানান, বখাটেরা তাকে এবং ছাত্রদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। মামলা প্রত্যাহারের জন্যও আমাকে চাপ প্রয়োগ করছে নানভাবে।ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শিক্ষকরা জাতীর মেরুদন্ড। শিক্ষকদের গায়ে হাত দেওয়া কোন মতেই বরদাশত করা হবে না। এর সাথে জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে। বাকী আসামিদের ধরার জন্য কাজ করছে পুলিশ বলেও তিনি জানিয়েছেন।