‘আমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছি’

মানবজমিন প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

টেলিভিশন নাটকের গুণী অভিনেতা আবুল হায়াত। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন অভিনয়ে। এখনো নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন। অভিনয়ে নিজেকে এভাবেই ব্যস্ত রাখতে চান বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে ভালো লাগে। কিন্তু এখন আর আগের মতো বৈচিত্র্য পাওয়া যায় না চরিত্রে। তবুও এরমধ্যে ভালো কাজগুলো করার চেষ্টা করি। জীবনের বেশি সময় অভিনয়ের সঙ্গেই আছি। এর সঙ্গে মিশে গেছি। ইচ্ছে করলেও অভিনয় থেকে দূরে থাকতে পারি না। সম্প্রতি আসছে ঈদের জন্য ‘আয়নার গল্প’ শিরোনামের একটি নাটকের শুটিং শেষ করেছেন এই অভিনেতা। এটি নির্মাণ করেছেন অঞ্জন আইচ। চলতি মাসে ঈদের জন্য আরো কয়েকটি নাটকে অভিনয় করবেন বলে তিনি জানান। টিভি নাটকের বাইরে ঈদে বেতার নাটকেও থাকছেন তিনি। বেতারের ‘ঈদ শপিং’ ও ‘সিনেমাটা কোরবানির’ শিরোনামের দুটি নাটকে আসছে ২৪শে জুলাই তিনি কণ্ঠ দেবেন। নাটক দুটির গল্প লিখেছেন অধ্যাপক তারিক মঞ্জুর। প্রযোজনা করছেন সৈয়দা ফরিদা ফেরদৌস যাত্রী। এদিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে তার নাট্যরূপে দেখা যাবে ‘উদ্ধার’ শিরোনামের একটি নাটক। অভিনয়ের বাইরে আবুল হায়াত নাটকও নির্মাণ করেন। ঈদে কি নির্মাণে দেখা যাবে আপনাকে? উত্তরে তিনি বলেন, চ্যানেল আইয়ের জন্য একটা নাটক নির্মাণ করবো। সত্যি বলতে, এখন নাটক নির্মাণের জন্য সাহস পাই না। একটা সময় নাটকে যে বাজেট ছিল তা দিয়ে ভালো ভাবে কাজ করা যেত। কিন্তু এখন সব কিছুর দাম বেড়েছে, কমেছে নাটকের বাজেট। এছাড়া অনেক সময় চ্যানেল থেকে শিল্পী নির্বাচন করে দেয়। যার কারণে মূল গল্প ঠিক রেখে কাজ করা কষ্ট হয়ে পড়ে। কাজের সময় নির্মাতাকে স্বাধীনতা দিতে হয়। এই সংকট উত্তরণের পথ কি? আবুল হায়াত বলেন, নাটক যখন থেকে এজেন্সির কাছে চলে গেছে তখন থেকেই এই অবস্থা শুরু হয়েছে। এজেন্সিগুলো চ্যানেল নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক ভালো সেসব শিল্পীদের নিয়ে এখন বেশি কাজ হচ্ছে। এছাড়া এজেন্সিগুলো অল্প বাজেটের কাজ বেশি চায়। সিনিয়র শিল্পীদের অনেকেই এখন কাজ করছেন না। এর কারণ কি মনে করেন? আবুল হায়াত বলেন, শুধু সিনিয়র শিল্পীরা নয়, তরুণদের মধ্যেই এখন ঠিকমতো কতজন অভিনয় করে? টিভি চ্যানেল ও ইউটিউব চ্যানেল সব মাধ্যমে এখন ঘুরে ফিরে নির্দিষ্ট ক’জন শিল্পীকে দেখা যায়। এদের ছাড়া মনে হয় আমাদের আর কোনো শিল্পী নেই। আমি আগেই বলেছি, এজেন্সিগুলোর কারণে নির্দিষ্ট ক’জন শিল্পীর বাইরে আর কাউকে দেখা যায় না। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রথমেই এজেন্সিগুলোর হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। এদিকে টিভি চ্যানেলগুলোকে বাজেট বাড়াতে হবে। ভালো মানের নাটক প্রচারের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। নাটকে মাঝেমধ্যেই এখন অশ্লীলতা দেখা যায়। বিশেষ করে ইউটিউবভিত্তিক নাটকে পোশাক-সংলাপ থেকে শুরু করে নাটকের নামেও অশ্লীলতার অভিযোগ রয়েছে।  এ বিষয়ে আবুল হায়াত বলেন, নাটক আগে শুধু টেলিভিশনে ছিল। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন ইউটিউবে চলে এসেছে। এই সময়ে কিছু নির্মাতা ইউটিউবে বেশি ভিউয়াসের জন্য এই ধরনের নাটক নির্মাণ করে। এখানে গল্পের চেয়ে তাদের টার্গেট থাকে দর্শক ধরে রাখা। সেটি যেভাবেই হোক। এভাবে আমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছি। কয়েক বছর পরেই সেটি আমরা বুঝতে পারবো। তবে আমি মনে করি, টিভি নাটকের সংগঠনগুলোকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলে কিছুটা হলেও সব কিছু নিয়মের মধ্যে আসবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us