নদীতে বাঁধ দেয়া নিয়ে সুর চড়ালেন মমতা

মানবজমিন প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

বাংলাদেশের সঙ্গে নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাধা হয়ে রয়েছেন বলে অভিযোগ উভয় পক্ষের। ফলে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ে কোনো আলোচনাই গত কয়েক বছরে সম্ভব হয়নি। এমনকি যৌথ নদী কমিশনও অকেজো হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় কয়েকদিন আগেই রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা অভিযোগ করেছিলেন, তিস্তার পানি দিতে পারিনি বলেই বাংলাদেশ ইলিশ দিচ্ছে না। অবশ্য তিনি শুনিয়েছিলেন, পানি দিতে পারলে তিনি খুশি হতেন। এবার বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতে আসা নদীগুলোয় বাংলাদেশে বাঁধ দেয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় এক বিধায়কের উল্লেখের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,  বাংলাদেশের দিকে বাঁধ দেওয়ায় পানি আটকে যাচ্ছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বিপদ বাড়ছে। তিনি আরো বলেন, আত্রেয়ীর বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানিয়েছি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচনা হলে ভাল হয়। কিন্তু সবটাই চলছে ‘ক্যাজুয়াল’ ভাবে। এটা নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। এদিন বিধানসভায় দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডির বিধায়ক নর্মদাচন্দ্র রায় উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব নদী পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে প্রতিবেশী দেশ সেগুলোয় বাঁধ দিচ্ছে। ফলে বিভিন্ন নদী কার্যত শুকিয়ে যাচ্ছে। তার প্রভাব পড়ছে কৃষি, পানীয় জল প্রকল্প, মৎস্য চাষ এবং পরিবেশের উপরে। বিধায়ক জানান, আত্রেয়ী, তুলাই, পুনর্ভবা, টাঙ্গনের মতো নদী বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরে এসেছে। ওই নদীগুলোর পানির ওপর গোটা জেলার কৃষিসহ সবকিছু নির্ভর করে। কিন্তু বর্ষার পরে যখন পানির প্রয়োজন বাড়ে, বাংলাদেশ ওই নদীগুলিতে বাঁধ দিয়ে দেয়। ফলে ওই জেলায় নদীর পানি শুকিয়ে যায়। অথচ ভরা বর্ষায় বাঁধ না দেয়ায় বন্যা হয়। তিনি আরো বলেন, আত্রেয়ী নদীর উপরে একটি পানির প্রকল্প রয়েছে। এই সমস্যার জেরে সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাঁধ দেয়ার ফলে বিভিন্ন নদী শুকিয়ে যাওয়ায় চাষের কাজে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us