খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক
প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০১৯, ০০:০০
দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মামলার গতি-প্রকৃতি পর্যালোচনা ও মুক্তি ইস্যুতে করণীয় নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। বৈঠকের পর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সঙ্গেও তারা বৈঠক করেন। গতকাল বিকাল সোয়া পাঁচটায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু হয়। পরে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার সময় আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী অংশ নেন। পরে আইনজীবীদের মধ্যে বৈঠকে যোগ দেন ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এডভোকেট আহমেদ আযম খান, জয়নুল আবেদিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, এডভোকেট আবদুর রেজাক খান, আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, এডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও ব্যারিস্টার মীর হেলাল। এছাড়া, বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, দৈনিক দিনকাল সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও সাবেক আমলা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকের এক পর্যায়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বেরিয়ে যান। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার গতি-প্রকৃতি ও করনীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই জন্য আইনজীবীদের ডেকে আলোচনা করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা শিগগির আবারও বসবো। তখন গণমাধ্যমকে ডেকে সব জানানো হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈঠকে জাতীয় সংসদ ও ঐক্য সমপ্রসারণের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা আরও হবে। তবে বৈঠকে অংশ নেয়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী কোনো কথা বলেননি। এদিকে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এজে মোহাম্মদ আলীর বাসায় আরেকটি বৈঠক করেন। তবে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সালাউদ্দিন আহমেদ বিদেশে অবস্থান করায়, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া অসুস্থতার কারণে, নজরুল ইসলাম খান সৌদি আরব অবস্থান করার কারণে বৈঠকে অংশগ্রহন করতে পারেননি। অন্যদিকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার ও তরিকুল ইসলাম মৃত্যুবরন করেছেন এবং স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনের পর থেকেই ১৯টির মধ্যে দুইটি পদ শূন্য ছিল।