সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ, ব্যবসায়ীর অভিযোগ

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৭ মে ২০১৯, ০০:০০

সিলেটে চারটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও এক সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ করেছেন এক ব্যবসায়ী। গতকাল সোমবার সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার বারকোট গ্রামের মো. দৌলা মিয়ার ছেলে আব্দুস সামাদ। তিনি পেশায় একজন রেডিমেইড পোশাক ও পোল্ট্রি ব্যবসায়ী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- সিলেট নগরের মজুমদারী কমলাবাগানের ১০৫ নং বাসার বাসিন্দা এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার রানাপিং গ্রামের মোস্তফা জামালের ছেলে মুহিজুল মোস্তফার সঙ্গে আত্মীয়তার সূত্রে তার সুসম্পর্ক ছিল। তিনি মুহিজুলকে বিশ্বাস করার সুবাদে তার সঙ্গে ব্যবসা করার চিন্তা করেন এবং সেই সুযোগে মুহিজুল তার কাছ থেকে নানা ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে একে একে ৯১ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। এই টাকা দিয়ে সে ৯টি ভাউচার ট্রাক কিনে। টাকা নেয়ার বিনিময়ে সে বিশ্বস্ততা রক্ষার জন্য ৮২ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক প্রদান করে এবং স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে ৯ লাখ টাকা নগদ নেয়। কথা ছিল তার যেসব ব্যবসা রয়েছে সেগুলোতে আমাকে শরিক করবে, আরো গাড়ি নামাবে। আরো ব্যবসা সমপ্রসারণ করবে। কিন্তু তা না করে মুহিজুল আমার সঙ্গে প্রতারণা করে। এরপর ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বার বার তার কাছে টাকা চাইলেও সে তা দিতে চায়নি। তিনি বলেন, তার পরিবারের কাছে এবং সিলেটের পরিবহন নেতাদের দ্বারস্থ হয়ে বিষয়টি জানানোর পরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় তিনি আইনের আশ্রয় নেন। মুহিজুলের দেয়া প্রতিটি চেক ডিজঅনার হওয়ায় তিনি আদালতে পর পর পাঁচটি মামলা দায়ের করেন। ইতিমধ্যে আদালত চারটি মামলার রায় দিয়েছেন। যাতে মুহিজুলের প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণ হয়েছে এবং রায়ে টাকা ফেরত প্রদানসহ সাজাসহ জরিমানা করা হয়েছে। ২০১৬ ও ১৭ সালের বিভিন্ন তারিখে এসব মামলার রায়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে গ্রেপ্তার হয়নি। আদালতের নির্দেশ মতো টাকাও ফেরত দেননি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us