এক মাসের মধ্যেই এমপিওভুক্তির ঘোষণা- শিক্ষামন্ত্রী

মানবজমিন প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

মাসখানেকের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল সচিবালয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করছি, মাস খানেকের মধ্যে এমপিওভুক্তির ঘোষণা করতে পারব। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি মাসে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অংশ (মূল বেতন ও কিছু ভাতা) পেয়ে থাকেন। এমপিও নয় এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। এরপর আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়নি। নতুন করে কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে এর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য চারটি সূচকের ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে থেকে আবেদন চাওয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। সেখান থেকে মন্ত্রণালয় এখন যোগ্য প্রতিষ্ঠান ঠিক করছে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আমরা চাইছি, যতগুলো দিতে পারি একবারই করতে। শিক্ষামন্ত্রী আরো জানান, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনটি একজন পরামর্শকের মাধ্যমে যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। অন্য আইনের সঙ্গে অসংগতি আছে কি না এই বিষয়টিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারা আশা করছেন, যাচাই শেষে মন্ত্রণালয় থেকে এ বছরের শেষ নাগাদ পরবর্তী পর্যায়ে পাঠাতে পারবেন। শিক্ষানীতি বাস্তবায়নেরও কাজ চলছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। মেডিকেল কলেজের মত সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে একসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা’ নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ কমাতে বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ লক্ষ্যে সরকারকে সহযোগিতা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। মতবিনিময় সভায় দীপু মনি বলেন, আমি জানি কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, বড় বিশ্ববিদ্যালয়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় নানান কারণে তারা এর বিরোধিতা করে। কিন্তু সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষাটি শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জন্যে খুবই জরুরি। গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে নিজের অবস্থান তুলে ধরে দীপু মনি বলেন, অনেক হয়রানি কমে যায়, অর্থ অপচয় কমে যায়, কষ্ট কমে যায়। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব না সারাদেশে এখানে ওখানে সেখানে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়া। অনেক সময় আমি শুনি ছেলেরা মসজিদে রাতে ঘুমিয়ে পরীক্ষা দেয়। মেয়েরা কোথায় গিয়ে থাকবে? শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যদি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত করতে পারি, তাহলে কেন অন্য ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত করতে পারব না? আমার বিশ্বাস, আমাদের যদি সবার একটু সদিচ্ছা থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই আমরা পারব। এক্ষেত্রে আমি আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সহযোগিতা দেবেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us