গুজবের ভিত্তিতে গ্রিস সীমান্তে হাজারো অভিবাসী, টিয়ারগ্যাস হামলা ও গ্রেপ্তার
প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবের ভিত্তিতে গ্রিস সীমান্তে ভিড় করেছে হাজারো অভিবাসন প্রত্যাশী। আশ্রয় পাওয়ার জন্য যারা জার্মানি যেতে চায় তাদের জন্য গ্রিস সীমান্ত খুলে দেয়া হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফলে আলবেনিয়ার হাজারো মানুষ গ্রিসের দিয়াভাতা গ্রামের কাছে জড়ো হতে শুরু করে। কিন্তু সেখানে গিয়ে ভুল ভাঙে তাদের। অভিবাসীর ঢল থামাতে তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস ছোড়ে গ্রিসের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে রয়েছে অনেক শিশু ও তাদের মায়েরাও। এ খবর দিয়েছে দ্যা সান। একপর্যায়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের সঙ্গে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয় গ্রিক পুলিশের। তারা গ্রামের কয়েকটি ক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এদিকে, তুরস্কের অভিবাসীরাও সীমান্ত খুলে দেয়া হয়েছে গুজব শুনে সীমান্তবর্তী এলাকার দিকে রওনা হয়। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা এখন পর্যন্ত প্রায় ১২শ’ অভিবাসীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। শুক্রবার সকাল নাগাদ গ্রিস সীমান্তে একদল অভিবাসন প্রত্যাশী জোরপূর্বক সীমান্ত অতিক্রম করতে চায়। তাদেরকে থামাতে তখন টিয়ার গ্যাস ছুড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। এতেই আহত হয় নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন। টিভি ফুটেজে দেখা গেছে ঘটনাস্থলের বেশ কয়েক স্থানে আগুন জ্বলছে। এ বিষয়ে গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত খুলে দেয়া হয়েছে এটি একটি মিথ্যা খবর। এদিকে গ্রিসে অবস্থানরত অভিবাসীরা রাজধানী এথেন্সের প্রধান রেলস্টেশনে গিয়ে জড়ো হয়েছে। এ সময় তারা সেøাগান দিতে থাকে, জার্মানি সীমান্ত খুলে দাও। আমির ওমর নামের এক অভিবাসী দ্যা সানকে বলেন, আমরা এখান থেকে জার্মানি যেতে চাই। আমরা জানিনা সীমান্ত তারা খুলে দেবে কি না। ইতিমধ্যে গ্রিস পুলিশ প্রায় ৫ শতাধিক অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও সিরিয়ার নাগরিক।