প্রধান উপদেষ্টা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে ধারণা দিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন, এটা বলা যাবে না। ইইউ কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি কিন্তু ইঙ্গিত দিয়েছিলেন চলতি মাসের শেষদিকে এ বিষয়ে ধারণা দেওয়ার। সেটা মাসের মধ্যভাগেই দেওয়া হয়ে গেল আর কী! সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতিতে পালিত বিজয় দিবসটাও তিনি অধিকতর তাৎপর্যপূর্ণ করে তুললেন কিছুটা আকস্মিকভাবে জাতির সামনে হাজির হয়ে।
যুগান্তরে প্রকাশিত এর আগের নিবন্ধে নির্বাচনের সময়সীমা তথা সরকারের মেয়াদ বিষয়ে ‘মোটামুটি একটা ধারণা’ দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছিলাম। আরও অনেকেই লিখে ও বলে এর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন নিশ্চয়ই। চায়ের দোকানেও এ বিষয়ে বক্তব্য রাখছে মানুষ। দেশ প্রত্যাশা অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে দেখলে তারা অবশ্য ভিন্ন কথাই বেশি বলতেন। এ মত তখন জনপ্রিয় হতো যে, ইউনূস সরকারই ‘যতদিন ইচ্ছা’ দেশ চালাক! এর আগে একাধিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আমরা জনতার এমন সরল মানসিক অবস্থান দেখতে পেয়েছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দেশে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার থাকা প্রয়োজন। সেটি আবার আসতে হবে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। আর নির্বাচন যত ‘অংশগ্রহণমূলক’ হয়, ততই মঙ্গল। সত্যি বলতে, হাসিনা সরকার এ প্রক্রিয়াটাই ধ্বংস করে দিয়েছিল বলে আজ এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে দেশ।